সদ্য শেষ হওয়া সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ড্র করে যৌথ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছিল স্বাগতিকরা। তবে সব কিছু ছাড়িয়ে আলোচনার শিরোনাম সাগরিকা। যার এক মাত্র গোলে ফাইনালে সমতায় ফেরে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচে চার গোল করে নজর কেড়েছে ঠাকুরগাঁওয়ের এই ফুটবলার।
সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ চলাকালে সাগরিকাকে নিয়ে একটি মন্তব্য করেন নারী দলের সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। সেখানে তিনি বলেন সবশেষ নারী ফুটবল লিগ থেকে সাগরিকাকে তৎকালীন টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি জাতীয় বয়সভিত্তিক দলে নিতে চাননি। বরং তখনকার ছোটন জোর করে ঝুঁকি নিয়েই তাকে দলভুক্ত করেছিলেন।
ছোটন এমন মন্তব্যে প্রতিবাদ করেছেন পল স্মলি। মালদ্বীপ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এমন তথ্য আসলে ঠিক না। সার্বিকভাবে অসত্য। আপনি এই সম্পর্কে যা যা তথ্য পেয়েছেন ও ছাপা হয়েছে তার অধিকাংশই ভুল। এখানে অনেক মিথ্যা রয়েছে।
বাংলাদেশ কোচের মন্তব্যকে মিথ্যা বললেও আসল কথাটা কি সেটাও পরিষ্কার করেননি তিনি। স্মলি বলেন, আমাকে কী ব্যাখ্যা করতে হবে? ওই সময় এমন কিছু হয়নি যা গল্প হতে পারে। এখানে আসলে কোনও গল্প নেই।।
জানা গেছে, সবশেষ নারী লিগ থেকে সাগরিকাকে বয়সভিত্তিক দলে টানেন তৎকালীন নারী দলের হেড কোচ ছোটন। কিন্তু সেসময় তার শারীরিক গঠন দেখে তথা স্মলি অনাগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু অনেকটা জোর করেই বাফুফের আবাসিক ক্যাম্পে সাগরিকাকে নিয়েছিলেন ছোটন।
মাত্র বছর দুয়েক যেতে না যেতেই ঠাকুরগাঁওয়ের রানীশংকৈল থেকে উঠে আসা এক দরিদ্র পরিবারের সেই কন্যা এখন দেশের নারী ফুটবলে আলোচিত মুখ। ছোটন তাই নিজেকে সার্থক মনে করছেন।
এক সাক্ষাৎকারে ছোটন বলেন, সাগরিকার খেলা দেখে তখনই ভালো লেগে যায়। তখনই বুঝতে পারছিলাম ওকে ঠিকমতো পরিচর্যা করলে দেশের ফুটবলে একদিন সম্পদ হবে। সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ ফুটবল দিয়ে অন্তত তা পরিষ্কার ফুটে উঠেছে। যদিও শুরুতে সাগরিকাকে নিতে চাননি তখনকার টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি, বিশেষ করে তার শারীরিক গঠনের দিকে তাকিয়ে। আমি জোর করে ঝুঁকি নিয়েই দলভুক্ত করি।’
তবে স্মলির প্রতিবাদের ব্যাখ্যা শুনে কোচ ছোটন হেসে বলেন, স্মলি তো খেলোয়াড় বাছাই করতেন না সেভাবে। এখন তো উনি এসব কথা বলবেনই। কেননা সাগরিকা তো নিজের পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। তার ধারণা যে ভুল প্রমাণিত হয়েছে। এটা তো তার পক্ষে মানা কঠিন।