মালয়েশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় পেরাক রাজ্যে বিদোর ডিটেনশন ক্যাম্পের ভেতরে দাঙ্গার পর সেখান থেকে পালিয়ে গেছে মিয়ানমারের ১৩১ জন নাগরিক। এদের মধ্যে ১১৫ জন রোহিঙ্গা বলে জানা গেছে। এ ছাড়া বন্দিশিবির থেকে পালাতে গিয়ে একজন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক রুসলিন বিন জুসোহ।
এসময় তিনি জানান, দাঙ্গার ঘটনায় এনফোর্সমেন্ট এজেন্সির কোনো সদস্য হতাহত হয়নি। তবে, শুক্রবার বিদোর ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপো থেকে ১৩১ জন মিয়ানমার ও রোহিঙ্গা অবৈধ অভিবাসী পালিয়ে গেছে।
এদিকে, পেরাকের পুলিশ প্রধান দাতুক সেরি মোহাম্মদ ইউসরি হাসান বসরি জানান, সব অবৈধ অভিবাসী ক্যাম্প এলাকার চারপাশের বেড়া ও কাঁটাতারের বেড়া টপকে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে ১১৫ জন রোহিঙ্গা নৃগোষ্ঠীর শরণার্থী ও ১৬ জন মিয়ানমারের অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর সদস্য। তাদের মধ্যে মহাসড়কে একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে একজন মারা গেছেন।
পেরাকের পুলিশ প্রধান আরও বলেন, খুব শিগগিরই এইসব অবৈধ অভিবাসীদের পুনরায় গ্রেফতার করতে আমরা সক্ষম হবো। আমরা এরইমধ্যে পালিয়ে যাওয়া অন্য ১৩০ জনকে ধরতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছি। বুকিত আমানের এয়ার অপারেশন্স ফোর্সের এয়ার উইং ইউনিট থেকেও আমরা সহায়তা পেয়েছি।
তিনি বলেন, পলাতকদের গ্রেফতারে তাপাহ জেলা পুলিশ সদর দফতর এবং কাম্পার, মুয়াল্লিম ও হিলির পেরাকসহ নিকটবর্তী জেলা পুলিশ স্টেশনে সাতটি সড়ক অবরোধ স্থাপন করা হয়েছে। প্রয়োজনে আমরা আরও বাধা সৃষ্টি করতে পারি।
মালয়েশিয়া শরণার্থীর মর্যাদা স্বীকার না করলেও অনেকদিন ধরেই মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার ও বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে পালিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গাদের পছন্দের গন্তব্য দেশটি।