দেখা গেছে, তীব্র শীত উপেক্ষা করে গুমানী নদীর হাঁটু পানিতে পলো দিয়ে মাছ ধরছেন। অধিকাংশ পলোর মধ্যে বোয়াল মাছ ধরা পড়ছে। তরুণ থেকে শুরু বয়স্করাও এক সাথে মাছ ধরছেন পলো দিয়ে। সৌখিন এমন মানুষের মাছ ধরা দেখছেন নদী পাড়ের লোকজন। অনেকে মোবাইল ফোনে ছবি তুলছেন, ভিডিও করে রাখছেন। বিশেষ করে, স্থানীয় পলোতে বড় বোয়াল মাছ ধরা পড়া দেখে আনন্দে মেতে ওঠে স্থানীয় শিশুরা। এক শিশুর ডাকে শোনা যায়, ‘এ সাকিনুর-এ আমিনুল পলো আউচে পলো।’
তাড়াশ উপজেলার ধামাইচ গ্রামের আব্দুল্লা, গুরুদাসপুর উপজেলার বিন্যাবাড়ি গ্রামের আলম ও বড়াই গ্রাম থানার বাবু ইসলাম বলেন, শখের বসে পলো দিয়ে মাছ ধরেন তারা। সাধারণত মাছ ধরে বেচে না কেউ। চলনবিলের পানি নামার পর থেকে দল বেঁধে মাছ ধরেন। আজ এখানে-কাল ওখানে। বিল এলাকার যে সব নদী, গাং ও খালে কম-বেশি মাছ রয়েছে। পলোতে বোয়াল, রুই, শোল, আইড়, বড় বাইম ধরা পড়ে।
স্থানীয় মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান ম্যাগনেট বলেন, গুমানী নদীর পাড়ে আমার বাড়ি। প্রতি বছর সৌখিন লোকজন মাছ ধরতে আসেন পলো নিয়ে নদীতে। অনেক লোকজন এক সাথে নদীতে নেমে পড়েন। সারিবদ্ধভাবে নদীর পানিতে পলো ফেলতে থাকেন। মাছ ধরতে-ধরতে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। এমন দৃশ্য দেখতে নদীর দুই পাড়ের বহু মানুষ ভীর জমান।
তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. মসগুল আজাদ দৈনিক ইত্তেফাককে বলেন, বন্যার মৌসুম জুরে মা মাছ ও পোনা মাছ রক্ষায় লাগাতার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে চলনবিলে। এর সুফল পাচ্ছেন মৎস্যজীবী ও অন্যান্য লোকজন।