অল্প খরচেই বাড়ির অঙ্গিনা বা পতিত জমিতে লাউ ও বিভিন্ন সবজি চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন উপজেলার কৃষকেরা। সে গুলো বাজারেও বিকি করছে ভালো দামে। সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, লাউসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির বাম্পার ফলন হওয়ায় উপজেলার কৃষকরা মহা খুশি।
উপজেলার ধুবিল উইনিয়নের হারণী গ্রামের লাউ চাষি জিন্নাহ বলেন, আমি ৭ বিঘা জমিতে লাউসহ বাঁধা কপি,ফুল কপি,গাজর,শিম,বেগুন,বডবডি,চাষ করেছি, সব মিলে খরচ হয়েছে ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা । চাষ করা সবজি হাট-বাজারে ৭ লাখ থেকে ৮ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারব। অন্য সব আবাদ থেকে সবজি চাষে লাভ চারগুন বেশি হয়।
উপজেলার নলকা উইনিয়নের গুপিনাথ পুর গ্রামের আব্দুল আলীমসহ অনেকে বলেন, আমরা উচুঁ বা পতিত জমিতে লাউসহ বিভিন্ন শীতকালিন সবজি চাষ আবাদ করি। সেই চাষ করা সবজি প্রতি হাটে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ৫ শত টাকা বিক্রি করি। সব খরচ বাদ দিয়ে ১ বিঘা জমিতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ হয়। এখন আমাদের এলাকাতে কমবেশি সবাই শীত কালিন সবজি চাষ করছে।
রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, কৃষকের যে কোনো সমস্যা সমাধানে মাঠ পর্যায়ে কৃষি অফিসার পরামর্শ দিয়ে আসছে। তাই দিন দিন উপজেলায় সবজি চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। লাউসহ বিভিন্ন ধরনের শীতকালিন সবজি চাষে কৃষকের বাড়তি আয় , কারণ এখানে বেশি পরিশ্রম বা খরচ করতে হয় না। এবার উপজেলায় ৭ শত ৩৫ হেক্টর জমিতে শীতকালিন সবজি চাষ আবাদ হয়েছে।