কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশা ও হাড় কাঁপানো কনকনে শীতে ঠান্ডায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন পড়েছে চরম বিপাকে। গত ৬ দিন ধরে দিনভর সূর্যের মুখ দেখা যায়না। ফলে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছেন এ জেলার মানুষ। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে আগুনের উত্তাপে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এ দিকে ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে অনেক পরিবহণ। প্রচন্ড ঠান্ডায় হাসপাতালগুলোতে প্রতিদিন ডায়েরিয়া ও নিউমোনিয়াসহ নানা শীতজনিত রোগে রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
শীত নিয়ে সদরের শুলকুর বাজার এলাকার ফুলজান বেগম বলেন, অতিরিক্ত ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হতে পারিনা। হাত পা সহজে গরম হতে চায়না।
শহরের জিয়া বাজার এলাকার কাঁচামাল ব্যবসায়ী বাবু মিয়া জানান, গত ৭-৮ দিন থেকে ঠান্ডার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে বাজারে লোকজন কমে গেছে। তাই আমাদের বিক্রিও অনেক কমে গেছে। খুব একটা প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. আতিকুর রহমান জানান, এ মুহূর্তে হাসপাতালে শীতজনিত রোগী বাড়ছে। তবে আমরা ডায়েরিয়া রোগীদের স্যালাইনসহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবা যথাযথভাবে প্রদান করছি।