নির্বাচনে কোথাও কারও পক্ষে জাল ভোট দিলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রার্থিতা বাতিল ও প্রয়োজনে ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
শনিবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় নির্বাচন নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। সিইসির ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হয়েছে। এখন কেবল ভোটগ্রহণ শুরুর অপেক্ষা। নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সব প্রার্থী ও ভোটারদের নির্বাচন বিষয়ে বিধিবিধান অনুসরণ করতে হবে। নির্বাচনের দায়িত্ব নিয়োজিত সব কর্মকর্তাকেও সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে আইন ও বিধিবিধান যথাযথভাবে পালন ও প্রয়োগ করতে হবে। দায়িত্ব পালনে অসততা, ব্যত্যয় ও অবহেলা সহ্য করা হবে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রার্থী, ভোটার ও নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ সর্বসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
তিনি বলেন, কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে জাল ভোট, ভোট কারচুপি, ব্যালট ছিনতাই, অর্থের লেনদেন ও পেশীশক্তির সম্ভাব্য ব্যবহার কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে প্রার্থীতা বাতিল করা হবে। প্রয়োজনে কেন্দ্র বা নির্বাচনী এলাকার ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এ সময় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল জনগণকেও ঐক্যবদ্ধ হয়ে সব প্রকার নির্বাচনী অনিয়ম-অনাচার প্রতিহত করতে আহ্বান জানান।
এর আগে, সবশেষ গত ১৫ নভেম্বর জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ওই ভাষণে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল ৮টায় ভোটের প্রচার-প্রচারণা শেষ হয়েছে। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোট হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গত ২৯ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে মাঠে নেমেছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ব্যাটালিয়ন আনসার, এপিবিএন এবং কোস্টগার্ড। এ ছাড়া ৩ জানুয়ারি থেকে মাঠে নেমেছে সশস্ত্র বাহিনী।
নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সাড়ে সাত লাখের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যা গত একাদশ সংসদ নির্বাচনের চেয়ে এক লাখ ৩০ হাজার বেশি। এবার ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে পুলিশের বাড়তি ফোর্স মোতায়েন রয়েছে।