ঢাকা , শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা ধার করে চলছে ইসলামী ব্যাংক

ফাইল ছবি

তারল্য সংকটে থাকা সাত ব্যাংককে ধার দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এরমধ্যে পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক রয়েছে। তাদেরকে ২২ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, লেন্ডার অব দ্য লাস্ট রিসোর্ট-এর একটি বিষয় রয়েছে। সে হিসেবে সাত ব্যাংককে এই টাকা ধার দেওয়া হয়েছে। এর আগেও এই ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নিয়মিত সব তফসিলি ব্যাংককে ধার দিয়ে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি অ্যাক্টের ক্ষমতাবলে সিকিউরিটিজের পাশাপাশি ডিমান্ড প্রমিজরি নোটের মাধ্যমে টাকা ধার নেয় সংকটে থাকা দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।

 

তবে শঙ্কার কথা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নেওয়া সাত ব্যাংকের মধ্যে পাঁচটিই ইসলামী ব্যাংক। এই পাঁচটি ব্যাংক হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক।

 

বাকি দুটি বেসরকারি তফসিলি ব্যাংক হচ্ছে- পদ্মা ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক।

 

নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিতে হলে ব্যাংকগুলোকে বিল, বন্ড জমা রাখতে হয়। তবে এই সাত ব্যাংকের কাছে ব্যবহারযোগ্য বিল-বন্ডও নেই যে তারা জমা রাখবে।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন সময় দেওয়া তথ্য অনুসারে, পাঁচ শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে দীর্ঘদিন ধরে ঘাটতি রয়েছে। ফলে প্রতিশ্রুতিপত্র (ডিমান্ড প্রমিজারি নোট) দিয়ে টাকা ধার করেছে সংকটে থাকা কয়েকটি ব্যাংক। এর মাধ্যমে যেকোনো উপায়ে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ব্যাংকগুলো।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা ধার করে চলছে ইসলামী ব্যাংক

আপলোড সময় : ০৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪

তারল্য সংকটে থাকা সাত ব্যাংককে ধার দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক। এরমধ্যে পাঁচটি ইসলামী ব্যাংক রয়েছে। তাদেরকে ২২ হাজার কোটি টাকা ধার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, লেন্ডার অব দ্য লাস্ট রিসোর্ট-এর একটি বিষয় রয়েছে। সে হিসেবে সাত ব্যাংককে এই টাকা ধার দেওয়া হয়েছে। এর আগেও এই ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নিয়মিত সব তফসিলি ব্যাংককে ধার দিয়ে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংক কোম্পানি অ্যাক্টের ক্ষমতাবলে সিকিউরিটিজের পাশাপাশি ডিমান্ড প্রমিজরি নোটের মাধ্যমে টাকা ধার নেয় সংকটে থাকা দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো।

 

তবে শঙ্কার কথা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ধার নেওয়া সাত ব্যাংকের মধ্যে পাঁচটিই ইসলামী ব্যাংক। এই পাঁচটি ব্যাংক হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক এবং গ্লোবাল ইসলামি ব্যাংক।

 

বাকি দুটি বেসরকারি তফসিলি ব্যাংক হচ্ছে- পদ্মা ব্যাংক এবং ন্যাশনাল ব্যাংক।

 

নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিতে হলে ব্যাংকগুলোকে বিল, বন্ড জমা রাখতে হয়। তবে এই সাত ব্যাংকের কাছে ব্যবহারযোগ্য বিল-বন্ডও নেই যে তারা জমা রাখবে।

 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন সময় দেওয়া তথ্য অনুসারে, পাঁচ শরিয়াভিত্তিক ব্যাংকের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে দীর্ঘদিন ধরে ঘাটতি রয়েছে। ফলে প্রতিশ্রুতিপত্র (ডিমান্ড প্রমিজারি নোট) দিয়ে টাকা ধার করেছে সংকটে থাকা কয়েকটি ব্যাংক। এর মাধ্যমে যেকোনো উপায়ে ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ব্যাংকগুলো।