ভোজ্য তেলের আমদানি কমাতে, বোরো ও আমন মৌসুমের মাঝামাঝি সময়ে জমি ফেলে না রেখে দুই ফসলি জমিকে তিন বা চার ফসলি করে তুলতে ও সরিষার বাজার মূল্য ভালো থাকায় সরিষা চাষাবাদে ব্যাপক আগ্রহ বেড়ে গেছে এ উপজেলার সরিষা চাষিদের।
চাষের সময় ও খরচ দুটোই কম হওয়ায় কৃষকের কাছে বেশ জনপ্রিয় সরিষা চাষ। গত কয়েক বছরে নতুন নতুন জাত উদ্ভাবনের ফলে এ শস্যটির ফলনও আগের চেয়ে বেড়েছে। এ কারণে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দিনে দিনে বাড়ছে সরিষার চাষ। প্রচলিত দেশি সরিষার চেয়ে বারি, টরি ও বিনার উদ্ভাবিত সরিষার জাতগুলোর ফলন বেশি। এ কারণে চাষিরাও আগ্রহী হচ্ছেন সরিষা চাষে।
অনেকেই আমন ধান সংগ্রহের পর জমি ফেলে না রেখে সরিষা চাষ করছেন। এ বছর উপজেলার ১৩ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় চাষকৃত সোনালি-৭৫ জাতের ১ হাজার ৬২০ হেক্টর, বরি-১৪ জাতের ৯ হাজার ১১০ হেক্টর, বারি-১৫ জাতের ২০ হেক্টর, বারি-১৭ জাতের ১ হাজার ১২০, বিনা-৯ জাতের ৭০ হেক্টর, টরি-৭ জাতের ২ হাজার ৪৯০, রাই-৫ জাতের ৬৩০ হেক্টর। মোট ১৫ হাজার ৬০ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হচ্ছে। কৃষক ইউসুফ আলী জানান- বিগত কয়েক বছর ধরেই সরিষা চাষাবাদ করে আসছি। এ বছরও সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে সরিষা চাষাবাদ করছি। এবারে আবহাওয়া অনুক‚লে থাকায় ও সরিষাতে পোকামাকড়ের তেমন আক্রমণ না থাকায় ভালো ফলন পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।
শাহজাদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জেরিন আহমেদ বলেন- বোরো ধান রোপণের আগে সরিষা একটি বাড়তি অর্থকরি ফসল। চাষের সময় ও খরচ দুটোই কম হওয়ায় কৃষকের কাছে বেশ জনপ্রিয় সরিষা চাষ। সরিষা চাষে উদ্ভুদ্ধ করতে কৃষকদের বিনামূল্যে ৮ হাজার ৯৫০ জন কৃষককে ১ কেজি করে সরিষা বীজ, ১০ কেজি ডিএমপি সার ও ১০ কেজি এম ও পি সার বিতরণসহ সরিষার ভালো ফলনের জন্য কৃষকদেরকে প্রতিনিয়ত সবধরনের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। আশা করি, কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।