বিশ্ববাজারে সোনার দামে ব্যাপক অস্থিরতার কারণে দেশের বাজারে দফায় দফায় বাড়ছে ধাতুটির দাম। বর্তমানে সর্বোচ্চ দামে দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে সোনা। অবশ্য যেকোনো সময় এ রেকর্ডও ভেঙে যেতে পারে। কারণ, বিশ্ববাজারে সোনার দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
তাদের ধারণা, নতুন সপ্তাহে প্রতি আউন্স সোনার দাম প্রথমবারের মতো দুই হাজার এক শ’ ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। সেটি হলে দেশের বাজারেও সোনার দাম নতুন করে বাড়ানোর ঘোষণা আসবে।
বিশ্ববাজারে সোনার লেনদেনের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ১ দশমিক ২৩ ডলার। সপ্তাহ শেষে তা বেড়ে ২ হাজার ৭১ দশমিক ৯৭ ডলারে চলে এসেছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে সোনার দাম বেড়েছে ৭০ দশমিক ৭৪ ডলার বা ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। এর মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেই দাম বেড়েছে ৩৬ দশমিক ২১ ডলার বা ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।
হঠাৎ সোনার দামে অস্থিরতা দেখা দেওয়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। এর সঙ্গে সামনে বিভিন্ন দেশে নির্বাচন আসছে। সবকিছু মিলে এক ধরনের অনিশ্চিত অবস্থার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এসব কারণে বৈশ্বিক এক ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে হঠাৎ সোনার চাহিদা বেড়ে গেছে। আর চাহিদা বাড়ার কারণে দামও বেড়েছে।
এদিকে দেশের বাজারে ১০ দিনের মধ্যে তিন দফা সোনার দাম বাড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গত ৩০ নভেম্বর দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়। এতে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম রেকর্ড ১ লাখ ৯ হাজার ৮৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বাজারে এখনও পর্যন্ত এটি সোনার সর্বোচ্চ দাম।
বাজুসের সাবেক সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, বিশ্ববাজারে সোনার এত দাম আমি আগে কখনো দেখিনি। এ দাম সামনে আরও বাড়তে পারে। ধারণ করা হচ্ছে এবার প্রতি আউন্স সোনার দাম ২ হাজার এক’শ ডলার হয়ে যাবে।
যখন অনিশ্চয়তা দেখা দেয় তখন সোনাসহ বিভিন্ন ধাতুর চাহিদা বেড়ে যায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এক ধরনের বৈশ্বিক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া সামনে বিভিন্ন দেশে নির্বচন আসছে। ফলে এক ধরনের অনিশ্চিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।