ঢাকা , সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫, ৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

খিরা চাষে কৃষকের মুখে হাসি

  • হান্ডিয়াল নিউজ
  • আপলোড সময় : ১১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩
  • ২২৮ বার দেখা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জে খিরা চাষে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। প্রতিদিন আড়তে বেচা-কেনা হচ্ছে কয়েকশ টন খিরা। চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ ও উল্লাপাড়ার উৎপাদিত এসব খিরা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে আড়ৎ থেকে প্রতিদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা কিনছেন। সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার ৬৬৬ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে তাড়াশ উপজেলায় রয়েছে ৪৩৯ হেক্টর। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় মৌসুমি খিরার হাট বসেছে ১৫টি স্থানে।

তাড়াশ উপজেলার দিঘড়িয়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক ফজর আলী বলেন, ‘গত বছর আধা বিঘা জমিতে খিরা চাষ করেছিলাম। এবার ২৫ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। ফলন ও দাম ভালোই পাচ্ছি।’ উল্লাপাড়া উপজেলার কৃষক আক্কাস আলী বলেন, ‘প্রতি বছর ধান ও সরিষা চাষ করলেও এবার আড়াই বিঘা জমিতে খিরা চাষ করেছি। এতে প্রতি বিঘা জমিতে একশ’র ও বেশি মণ খিরা উৎপাদন হবে। এসব খিরা স্থানীয় বাজারে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।’

উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের চরবর্দ্ধনগাছা খিরার হাটের আড়তদার ফজলুল করিম বলেন, ‘এবার খিরার দ্বিগুণ উৎপাদন হয়েছে। সেই সাথে চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাচ্ছে কৃষক।’এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, ‘গত বছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার ৭৫ হেক্টর জমিতে খিরা বেশি চাষ হয়েছে। এ মৌসুমে খিরা চাষে আবহাওয়া অনূকূল থাকায় কৃষকরা ভালো ফলন ও দাম পাচ্ছেন।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধারের নামে ঋণের ফাঁদ পা দিলেই মাথায় হাত কেরানীগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ঋণজাল

খিরা চাষে কৃষকের মুখে হাসি

আপলোড সময় : ১১:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ নভেম্বর ২০২৩

সিরাজগঞ্জে খিরা চাষে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। প্রতিদিন আড়তে বেচা-কেনা হচ্ছে কয়েকশ টন খিরা। চলনবিল অধ্যুষিত তাড়াশ ও উল্লাপাড়ার উৎপাদিত এসব খিরা স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে আড়ৎ থেকে প্রতিদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, বগুড়া, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের পাইকাররা কিনছেন। সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় এবার ৬৬৬ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে তাড়াশ উপজেলায় রয়েছে ৪৩৯ হেক্টর। এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় মৌসুমি খিরার হাট বসেছে ১৫টি স্থানে।

তাড়াশ উপজেলার দিঘড়িয়া গ্রামের প্রান্তিক কৃষক ফজর আলী বলেন, ‘গত বছর আধা বিঘা জমিতে খিরা চাষ করেছিলাম। এবার ২৫ শতাংশ জমিতে চাষ করেছি। ফলন ও দাম ভালোই পাচ্ছি।’ উল্লাপাড়া উপজেলার কৃষক আক্কাস আলী বলেন, ‘প্রতি বছর ধান ও সরিষা চাষ করলেও এবার আড়াই বিঘা জমিতে খিরা চাষ করেছি। এতে প্রতি বিঘা জমিতে একশ’র ও বেশি মণ খিরা উৎপাদন হবে। এসব খিরা স্থানীয় বাজারে ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।’

উল্লাপাড়া উপজেলার লাহিড়ী মোহনপুর ইউনিয়নের চরবর্দ্ধনগাছা খিরার হাটের আড়তদার ফজলুল করিম বলেন, ‘এবার খিরার দ্বিগুণ উৎপাদন হয়েছে। সেই সাথে চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাচ্ছে কৃষক।’এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বাবলু কুমার সূত্রধর বলেন, ‘গত বছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার ৭৫ হেক্টর জমিতে খিরা বেশি চাষ হয়েছে। এ মৌসুমে খিরা চাষে আবহাওয়া অনূকূল থাকায় কৃষকরা ভালো ফলন ও দাম পাচ্ছেন।