সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় নতুন প্রকল্প নেওয়া এবং অর্থ ছাড় স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একইসঙ্গে সব ধরনের অনুদান ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমও স্থগিত রাখতে বলেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। এ নির্দেশনা নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশ পর্যন্ত বহাল থাকবে।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান পৃথক চারটি নির্দেশনায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং রেড ক্রিসেন্টকে এই নির্দেশনা পাঠিয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগকে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনি আচরণবিধি অনুযায়ী নির্বাচন-পূর্ব সময়ে (তফসিল ঘোষণার দিন থেকে ফলাফল গেজেটে প্রকাশ) পর্যন্ত কোনও সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি সরকারি বা আধা সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের তহবিল থেকে কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে কোনও প্রকার অনুদান ঘোষণা বা বরাদ্দ প্রদান বা অর্থ অবমুক্ত করা যাবে না। এ বিধান লঙ্ঘন দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।
নির্বাচনকে প্রভাবমুক্ত রাখতে এ সময়ে নির্বাচনি এলাকায় কোনও প্রার্থী সিটি করপোরেশন/পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনও সম্পত্তি তথা অফিস, যানবাহন, মোবাইল ফোন, টেলিফোন, ওয়াকিটকি বা অন্য কোনও সুযোগ-সুবিধা নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন না। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নির্বাচনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
এ ছাড়া কোনও সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে রাজস্ব বা উন্নয়ন তহবিলভুক্ত কোনও প্রকল্পের অনুমোদন, ঘোষণা বা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন কিংবা ফলক উন্মোচন করা যাবে না। অনুদান বা ত্রাণ বিতরণ-সংক্রান্ত কার্যক্রম বা উন্নয়নমূলক কোনও প্রকল্প অনুমোদন না করার কথা চিঠিতে বলা হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে দেওয়া চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচন সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনি এলাকায় নতুন ধরনের কোনও প্রকার অনুদান বা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না। তবে যেসব ত্রাণ কার্যক্রম আগে থেকে পরিচালিত হচ্ছে, তা চালু থাকবে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, নির্বাচনি এলাকায় নতুন ভিজিডি কার্ড ইস্যুসহ নতুন ধরনের কোনও প্রকার অনুদান বা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে না। তবে যেসব ত্রাণ কার্যক্রম আগে থেকে পরিচালিত হচ্ছে, সেগুলোর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। নতুন করে অনুদান বা ত্রাণ বিতরণ সংক্রান্ত কার্যক্রম গ্রহণ আবশ্যক হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বা জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের সম্মতি নিতে হবে।
রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিকে পাঠানো চিঠিতেও একই কথা বলা হয়।