মুন্সীগঞ্জের চর মুক্তারপুর এলাকায় সিগারেট না দেওয়ায় অজ্ঞাত এক (১৬) কিশোরকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আরেক কিশোরের বিরুদ্ধে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৪ জুলাই) মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্ডার খায়রুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোববার দুপুরে ওই এলাকা থেকে অজ্ঞাত কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চর মুক্তারপুর এলাকায় একই রুমে অভিযুক্ত কিশোর কয়েকজনের সঙ্গে ভাড়া থাকত। সবাই সকালে কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়। রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘরে এক কিশোরের মরদেহ রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে জানানো হয়। পরে ঢাকার সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিটের একটি টিম এসে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয় বাসিন্দা শাকিল জানান, রোববার সকালে ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে অভিযুক্ত কিশোর তার ব্যাগ নিয়ে বসে ছিল। এ সময় আমরা তার পরনের গেঞ্জিতে রক্ত দেখে তাকে জিজ্ঞেস করি। পরে সে বলে আমি নিহতের কাছে সিগারেট চাই কিন্তু সিগারেট আমাকে দেয়নি। এ সময় আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে শুয়ে থাকে। পরে আমি বটি দিয়ে তাকে কুপিয়ে খুন করি। এ সময় স্থানীয়রা তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
প্রতিবেশী মেহেরুনেছা বলেন, রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় অভিযুক্ত কিশোর রান্না ঘরে এসে আমার কাছে বটি চায়। এ সময় আমি তাকে জিজ্ঞেস করি বটি দিয়ে কী করবে। সে আমাকে জানান, ফ্যানের সঙ্গে রশি আছে সেটি কাটতে হবে। তারপর সে বটি নিয়ে চলে যায়।
পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্ডার খায়রুল ইসলাম জানান, রোববার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনও নিহত ও আটককৃত কিশোরের পরিচয় জানা যায়নি।
তিনি আরও জানান, তারা দুজন রুমে প্রথমে প্যান্ট কাটে তারপর তাদের মধ্যে সিগারেট নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। পরে অভিযুক্ত কিশোর তাকে বটি দিয়ে প্রায় চার থেকে পাঁচটি কোপ দেয়। সেখানের তার মৃত্যু হয়।