পাবনার চাটমোহরসহ চলনবিল অঞ্চলে চলছে মাছ ধরার উৎসব। চাটমোহর উপজেলার রামের বিল,খলিশাগাড়ি বিল,ডিকশি বিল,বিলকুড়ালিয়া,গুমানী ও চিকনাই নদী,ভাঙ্গুড়ার রহুল বিলসহ বিভিন্ন বিলে চলছে এই উৎসব। চলনবিল অঞ্চলের ভাষায় এই উৎসবকে বলা হয় ‘বাউত উৎসব”। সপ্তাহের প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার নির্দিষ্ট একটি বিলে বাউত নামে। বিভিন্ন উপজেলার শত শত মানুষ ভোর হতেই নানা যানবাহনে মাছ ধরার হরেক রকম উপকরণ নিয়ে হাজির হয় বিলে। হৈ হৈ রৈ রৈ করতে করতে করতে আল্লাহ ও রাসুলের নাম নিয়ে নেমে পড়ে বিলের শীতল পানিতে। শত শত সৌখিন মৎস্য শিকারীর হাতে হাতে পলো। এ ছাড়া নানা রকমের জাল দিয়েও মাছ ধরা হয়। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত মাছ ধরার এই উৎসবে যোগ দেয়।
শনিবার (১২ নভেম্বর) সকালে পাবনার চাটমোহর উপজেলার পাশর্^ডাঙ্গা ইউনিয়নের রামের বিলে নামে বাউত। চাটমোহর,ভাঙ্গুড়া,ফরিদপুর,আটঘরিয়া,বড়াইগ্রাম,তাড়াশ,গুরুদাসপুর উপজেলার কয়েক শত মানুষ নেমে পড়ে বিলে। বিগত দিনে ডিকশি বিল ও খলিশাগাড়ি বিলেও বাউত নেমে মাছ ধরেছে। আগামী ২ সপ্তাহ এই মাছ ধরার উৎসব চলবে বলে জানান বাউতে আসা মৎস্য শিকারীরা। বাউতে আসা আটঘরিয়ার সৌখিন মৎস্য শিকারী আলাউদ্দিন জানান,এই মাছ ধরা উৎসবে বোয়াল,শোল,রুই,কাতলা ছাড়াও হরেক রকম দেশী প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। প্রতি বছরই চলনবিল অঞ্চলে নদী ও বিলে আগ্রহায়ন ও পৌষ মাসে বাউত নামে। এদিকে বাউত উৎসবের কারণে বিলের জীব বৈচিত্র্য চরমভাবে বিনষ্ট হচ্ছে। বিলের অসংখ্য ছোট মাছ মারা যাচ্ছে। চলনবিল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব এস এম মিজানুর রহমান জানান,বাউত উৎসব চলছে দীর্ঘদিন ধরেই। এতে বিলে জীববৈচিত্র্য বিনষ্ট হচ্ছে। এ বিষয়ে সরকারি-বেসরকারিভাবে গণসচেতনতা বাড়ানো দরকার।