শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না উল্লেখ করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা শায়েখ সাজিদুর রহমান বলেছেন, বর্তমানে শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ধর্মবিষয়ক পরীক্ষা তুলে দেওয়া হচ্ছে। এতে ধর্মীয় বই পাঠ্যপুস্তুকে থাকলেও পরীক্ষায় না থাকায়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুরুত্ব হারাবে। তাই ধর্মবিষয়ক পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ সময় তিনি গ্রেপ্তারকৃত আলেম-উলামাদের দ্রুত মুক্তি ও হেফাজত নেতাকর্মীদের নামে হওয়া সকল মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে ঢাকার খিলগাঁওয়ে অবস্থিত জামিয়া ইসলামিয়া মাখজানুল উলুম মাদরাসায় হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর কমিটির পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা ও দাবি জানান।
তিনি বলেন, ২০২১ সাল থেকে অনেক আলেম-উলামা বন্দি অবস্থায় আছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই গুরুতর অসুস্থ। অবিলম্বে তাদের মুক্তি দিতে হবে। এ ছাড়াও হেফাজতের নেতাকর্মীদের নামে করা সকল মিথ্যা মামলাও প্রত্যাহার করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ’ শাইখুল ইসলাম আল্লামা শাহ আহমদ শফীর প্রতিষ্ঠিত সংগঠন। হেফাজতের কোনো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই। শাইখুল ইসলাম এবং পরবর্তীতে আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী সম্পুর্ণ অরাজনৈতিকভাবে এই সংগঠন পরিচালনা করে গেছেন। আজ আমাদেরকে তাদের পথ অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে হবে।
এ ছাড়াও তিনি ধর্মীয় শিক্ষা নিয়ে এক শ্রেণির অসাধু ধর্মবিরোধী চক্রের ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত বলেন, আমরা জানতে পেরেছি ধর্মীয় শিক্ষা চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র চলছে। এ ধরনের ষড়যন্ত্র ২০১৬ সালেও একবার হয়েছিল। তখন হেফাজতে ইসলামের দাবির মুখে সরকার বাধ্য হয়, সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর সভাপতি মাওলানা আবদুল কাইয়্যুম সুবহানী। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জহুরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদরিস, ঢাকা মহানগর সেক্রেটারি ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুফতী কেফায়েত উল্লাহ আজহারী, মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মাওলানা ওয়াহিদুর রহমান, মাওলানা আবদুল্লাহ ইয়াহহিয়া, মাওলানা ইলিয়াস হামিদী, মাওলানা যুবায়ের আহমদ, মুফতী মুনিরুজ্জামান, মুফতী কামাল উদ্দীন, মাওলানা মুস্তাকিম বিল্লাহ হামিদী, মাওলানা যুবায়ের রশীদ, মাওলানা রাশেদ বিন নূর ও সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার।