আজ পদ্মা সেতু আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করছে। ভাঙা থেকে মাওয়া পর্যন্ত চলবে পরীক্ষামূলক ট্রেন। প্রথমবারের মতো ট্রেন পাড়ি দেবে পুরো পদ্মা সেতু। তবে সেতুতে সড়কপথ চালুর প্রায় ১০ মাসের মাথায় প্রস্তুত হয়ে গেছে রেলপথ।
মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, ৬ দশমিক ৬৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর রেলপথের কাজ শেষ করেছেন দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা। গত ২৯ মার্চ রেলপথের সবশেষ ৭ মিটার অংশের ঢালাই দেওয়ার মাধ্যমে কাজ সমাপ্ত হয়। ঢালাইকৃত অংশ শক্ত হয়ে ট্রেন চলার উপযোগী হতে ৪৮ ঘণ্টা সময়ের প্রয়োজন ছিল। গত শুক্রবার বিকেলে নির্ধারিত ৪৮ ঘণ্টা শেষ হয়। পরে ওইদিন প্রকৌশলীরা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন যে ঢালাইকৃত অংশ ট্রেন চলার জন্য উপযোগী হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ বর্তমানে ট্রেন চলাচলের জন্য প্রস্তুত সেতুর পুরো পাথরবিহীন রেলপথ।
এদিকে মঙ্গলবার পুরো সেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিয়েছেন প্রকৌশলীরা। ফরিদপুরের ভাঙ্গা পদ্মা স্টেশন থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৪১ দশমিক ৫ কিলোমিটার অংশে পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানো হবে।
প্রকল্প ব্যবস্থাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাঈদ আহম্মেদ জানান, ‘গ্যাংকার দিয়ে ভাঙ্গা থেকে মাওয়া পর্যন্ত সাড়ে ৪১ কিলোমিটার রেলপথ পরীক্ষা করে দেখা হবে। এই পথে ডিজাইন-স্পিড ১২০ কিলোমিটার থাকলেও ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিতে টেস্ট রান চালানো হবে।