সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, দেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জীবনমান উন্নয়নসহ সব সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি রক্ষায় সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বকুলতলা চত্বরে আয়োজিত ‘বৈচিত্র্যের ঐকতান’ শীর্ষক সাংস্কৃতিক উৎসবে তিনি এ কথা বলেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি ধারণ, লালন ও চর্চার মাধ্যমেই সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বহমান থাকে। এ বিষয়টির প্রতি লক্ষ্য রেখেই বর্তমান সংস্কৃতিবান্ধব সরকার জাতীয় সংস্কৃতির পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ, পরিচর্যা, বিকাশ ও উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, হিজড়াদের পিছিয়ে রাখা যাবে না। তারা আমাদেরই সন্তান। তাদেরও অধিকার আছে বেঁচে থাকার।
এসময় বাংলার সকল বৈচিত্র্যকে এক সুতোয় বাঁধার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান কে এম খালিদ।
দেশের বিভিন্ন ভাষাভাষী ও ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষের অধিকার নিশ্চিতকরণসহ হারিয়ে যাওয়া ভাষা, শিল্প, সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য রক্ষায় ব্যতিক্রমী এই উৎসবের আয়োজন করে ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট এন্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি)।
এদিন বিকেল তিনটায় শুরুতেই বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন বরেণ্য অভিনেতা ও একুশে পদক বিজয়ী সংস্কৃতিজন জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।
আইইডির নির্বাহী পরিচালক নুমান আহম্মদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেল, উৎসবের আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন কবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শান্তনু মজুমদার, আদিবাসী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং, অ্যাকশন এইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির, আইইডির সমন্বয়কারী জ্যোতি চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।