লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় পরকীয়া প্রেমিক ইউসুফ ও স্ত্রী রিনা বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামীকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি রামগতি উপজেলার চরলক্ষ্মী গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে ইব্রাহিম খলিল (৪০)। তিনি পেশায় ইটভাটার কর্মী ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, রামগতি চরলক্ষ্মী গ্রামের বেলাল মাঝির ছেলে ইউসুফ ইটভাটার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। এ কারণে প্রায়ই ইউসুফ তার বাড়িতে যেতেন। একপর্যায়ে ইব্রাহিমের স্ত্রী রিনার সঙ্গে ইউসুফের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ২০১৭ সালের ৩ জুন ইফতারের সময় ইউসুফ ওই বাড়িতে যান। এ সময় ফেনী থেকে ইব্রাহিম বাড়িতে এসে রিনা ও ইউসুফকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন।
এদিকে ক্ষিপ্ত হয়ে ইব্রাহিম দুজনকেই ঘরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় সংবাদ পেয়ে তছলিমা বেগম স্বামী ইউসুফকে উদ্ধার করে চিকিৎসকের কাছে নেওয়ার পথে মারা যান। পরদিন তছলিমা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া আহত অবস্থায় রিনাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ৬ জুন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান। নোয়াখালীর সুধারাম থানায় নিহতের মা জানু বেগম একটি জিডি করেন। এদিকে হত্যা দুটি একই ঘটনা হওয়ায় ১১ জুন মামলাটি রামগতি থানার মামলার সঙ্গে সংযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। গ্রেপ্তার ইব্রাহিমকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন জানান, একই বছরের ১২ নভেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগতি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদ আহম্মদ আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আদালতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে আদালত তাকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন। তবে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে গিয়ে ইব্রাহিম পলাতক আছেন।