ঢাকা , সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

কে হচ্ছেন ২২তম রাষ্ট্রপতি, জানা যাবে সন্ধ্যায়

ফাইল ছবি

কে হচ্ছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি, এই নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এরই মধ্যে কয়েকজনের নামও উঠে এসেছে। তবে কে হবেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি সেটি নির্ধারণ হবে সন্ধ্যায়।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভায় রাষ্ট্রপতি পদে দলটির মনোনয়ন চূড়ান্ত হবে। আর সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই হবেন রাষ্ট্রপতি।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভায় রাষ্ট্রপতি পদে দলটির মনোনয়ন চূড়ান্ত হবে। আর সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই হবেন রাষ্ট্রপতি।

সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সংসদ ভবনের লেভেল ৯-এ সরকারি দলের সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে আগামী ২৪ এপ্রিল। পরপর দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তিনি। দেশের সংবিধান অনুযায়ী, তার আর রাষ্ট্রপতি হওয়ার সুযোগ নেই। এ কারণে নতুন কাউকে দেখা যাবে তার জায়গায়।

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন শেষ করতে হবে। সে হিসেবে, নির্বাচন কমিশন তফসিলও ঘোষণা করেছে।

তফসিল অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি পদে ভোটগ্রহণ করা হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। এখানে ভোটার খোদ সংসদ সদস্যরা। আগ্রহী প্রার্থীরা ১২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাইয়ের পর ১৪ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।

নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি পদে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় এবং সংসদ সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সংবিধানের ৪৮(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপতি থাকিবেন, যিনি আইন অনুযায়ী সংসদ-সদস্য কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন।

আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলের প্রার্থিতা নিয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। তবে এ নিয়ে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর মধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম আলোচিত হচ্ছে।

তাদের মধ্যে রয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আগামী দিনের জন্য যাকে যোগ্য মনে করবেন, তিনিই হবেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। তবে আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যে কোনো সংকট সৃষ্টি হলে সাহসিকতা, দক্ষতা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে যিনি সংকট উত্তরণে সঠিক অবস্থান নিতে পারবেন, এমন একজনকেই রাষ্ট্রপতি করা হবে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করছেন।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

‘ভোটকেন্দ্রে থাকবে বডি ক্যামেরা ও সিসিটিভি, উড়বে ড্রোন’

কে হচ্ছেন ২২তম রাষ্ট্রপতি, জানা যাবে সন্ধ্যায়

আপলোড সময় : ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

কে হচ্ছেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি, এই নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে। এরই মধ্যে কয়েকজনের নামও উঠে এসেছে। তবে কে হবেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি সেটি নির্ধারণ হবে সন্ধ্যায়।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভায় রাষ্ট্রপতি পদে দলটির মনোনয়ন চূড়ান্ত হবে। আর সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই হবেন রাষ্ট্রপতি।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভায় রাষ্ট্রপতি পদে দলটির মনোনয়ন চূড়ান্ত হবে। আর সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীই হবেন রাষ্ট্রপতি।

সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সংসদ ভবনের লেভেল ৯-এ সরকারি দলের সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় দলের নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দ্বিতীয় মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে আগামী ২৪ এপ্রিল। পরপর দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হয়েছেন তিনি। দেশের সংবিধান অনুযায়ী, তার আর রাষ্ট্রপতি হওয়ার সুযোগ নেই। এ কারণে নতুন কাউকে দেখা যাবে তার জায়গায়।

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, বর্তমান রাষ্ট্রপতির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ৯০ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন শেষ করতে হবে। সে হিসেবে, নির্বাচন কমিশন তফসিলও ঘোষণা করেছে।

তফসিল অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি পদে ভোটগ্রহণ করা হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। এখানে ভোটার খোদ সংসদ সদস্যরা। আগ্রহী প্রার্থীরা ১২ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারবেন। ১৩ ফেব্রুয়ারি যাচাই-বাছাইয়ের পর ১৪ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে।

নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি পদে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয় এবং সংসদ সদস্যদের ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। সংবিধানের ৪৮(১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপতি থাকিবেন, যিনি আইন অনুযায়ী সংসদ-সদস্য কর্তৃক নির্বাচিত হইবেন।

আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নীতিনির্ধারক নেতা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলের প্রার্থিতা নিয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ধরনের আলোচনা হয়নি। তবে এ নিয়ে দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর মধ্যে বেশ কয়েকজনের নাম আলোচিত হচ্ছে।

তাদের মধ্যে রয়েছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান, সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হবেন, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আগামী দিনের জন্য যাকে যোগ্য মনে করবেন, তিনিই হবেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। তবে আগামী দিনের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যে কোনো সংকট সৃষ্টি হলে সাহসিকতা, দক্ষতা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে যিনি সংকট উত্তরণে সঠিক অবস্থান নিতে পারবেন, এমন একজনকেই রাষ্ট্রপতি করা হবে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা মনে করছেন।