বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার কিচক ইউনিয়নে ধর্ষণের চেষ্টা করায় গোপনাঙ্গ কেটে আওয়ামী লীগ নেতা এরশাদুল ইসলামকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক গৃহবধূর বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন সকাল সাড়ে ৮টায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শজিমেক) মারা যান তিনি। তবে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ওই ইউনিয়নের মাদারগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম এরশাদুল ইসলাম (৩৫)। তিনি উপজেলার কিচক ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
অভিযুক্ত গৃহবধূর স্বামী রুবেল মিয়া জানান, এরশাদুল ২০২২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল। সেই ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে যান তিনি। কয়েক দিন আগে জামিনে বের হয়ে ফের আমার স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। সোমবার সন্ধ্যায় আমি বাজারে গেলে এরশাদুল বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীর হাত চেপে ধরে। এ সময় আমার স্ত্রী চিৎকার করলে দৌড়ে পালিয়ে যান এরশাদ।
তিনি আরও জানান, কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে ফের আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় আমার স্ত্রী ব্লেড দিয়ে এরশাদের গোপনাঙ্গ কেটে দেন। পরে পুলিশ এসে আমার স্ত্রীকে আটক করে নিয়ে যান।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম জানান, এরশাদুল হত্যাকাণ্ডে জড়িত গৃহবধূকে আটক করে থানায় রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে মামলা প্রস্তুতি চলছে। মামলা রেকর্ড করে অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। মরদেহ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।