যশোরে চুরি হওয়া স্বর্ণসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র-গুলি ও মাইক্রোবাস উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে সোমবার (৩০ জানুয়ারি) তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, যশোর শহরের বেজপাড়া পিয়ারী মোহন রোডের মৃত শামসুল আলম খানের ছেলে শাহরিয়ার আলম খান, বেজপাড়া উমেশচন্দ্র লেনের শম্ভু দত্তের ছেলে বাবু দত্ত, পিয়ারী মোহন রোডের শেখ আব্দুস সামাদের ছেলে সাইফুল ইসলাম নয়ন, নলডাঙ্গা রোডের মৃত নিমাই কুমার সরকারের ছেলে নিশিত কুমার এবং শ্রীধর পুকুরপাড়ের মৃত কৃষ্ণ চন্দ্র চন্দের ছেলে কার্তিক চন্দ্র চন্দ।
এরমধ্যে শাহরিয়ার আলম খান, বাবু দত্ত ও সাইফুল ইসলাম আজ আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।
স্বর্ণ চুরি হয়। এ ঘটনায় গোপি দের বাবা রঞ্জিত দে গত ২৫ জানুয়ারি যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। ওই মামলায় ডিবি পুলিশ শহরের বড় বাজারের স্বর্ণপট্টিতে অভিযান চালায়। এ সময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার করা হয় চুরি হওয়া ৫২ ভরি স্বর্ণ। আটক শাহরিয়ারের কাছ থেকে একটি ২২ বোরের রাইফেল, দুইটি ম্যাগজিন, ৩০টি গুলির বক্স, দেড় রাউন্ড গুলি, ২৮টি ২২ বোরের গুলির খোসা, একটি মোবাইল ফোন, একটি অস্ত্রের লাইসেন্স, একটি কীট বক্স ও একটি মাইক্রো বাস উদ্ধার করা হয়।
লুট করা স্বর্ণ শাহরিয়ার আলম গ্রেপ্তারকৃত বাবু দত্তের কাছে বিক্রি করে মাইক্রোবাস ক্রয় করেন। পুলিশ সেই মাইক্রোও উদ্ধার করেছে।
আটক শাহরিয়ার আলম, বাবু দত্ত ও সাইফুল ইসলাম লুট ও চোরাই স্বর্ণ ক্রয়ের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।