সিরাজগঞ্জ জেলায় গত বছরে প্রাণঘাতী ভাইরাস এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে ৮১ জনের শরীরে । যা এর আগের দুই বছরে ছিল ১২ জন। এজন্য একই সিরিঞ্জে মাদক গ্রহণ এবং অনিয়ন্ত্রিত যৌন জীবনকে দায়ী করছেন চিকিৎসকরা।
মরণব্যাধী এইডস-মৃত্যুই যার পরিণাম। চিকিৎসা বিজ্ঞানে যার কোনো চূড়ান্ত প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি এখনও। যমুনা তীরে উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা।
পরিসংখ্যান বলছে, সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে গেল বছর ১ হাজার ৬শ’ জনের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় ৮১ জনের শরীরে এইচআইভি পজেটিভ শনাক্ত হয়। যার মধ্যে ৯৮ ভাগই মাদকসেবী। তবে শুধু মাদক বা যৌনকর্ম নয়, অসতর্কতার ফলেও ছড়াতে পারে এইচআইভি।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য প্রফেসর ডা. হাবিবে মিল্লাত সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন প্রোগ্রাম হাতে নিচ্ছি। এ রোগ থেকে বেরিয়ে আসতে আমাদের করণীয় বিষয়গুলোর ব্যাপারে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এ ব্যাপারে জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, মূলত ইন্ডিয়া থেকে অবৈধভাবে আসা বোপেন অরফান ইনজেকশন মাদক ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করে থাকে। গত ২ মাসে প্রায় ১৫০০ অ্যাম্পল ইনজেকশন আমরা জব্দ করেছি।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে সিরাজগঞ্জে এইচআইভি পরীক্ষা চালু হয়। ওই বছর ৪ জন এবং এর পরের বছর ৮ জনের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হয়। যার মধ্যে মারা গেছেন ৪ জন।