রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২৯ জন অগ্নিদগ্ধ রোগী। তারা সবাই শীত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আগুন পোহাতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন। তাদের প্রত্যেকেরই শরীরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এ ছাড়া চিকিৎসাধীন অগ্নিদগ্ধ আরও দুজন মারা গেছেন।
অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন মৃত ব্যক্তিরা হলেন, পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার নছিমন বেওয়া (৬৮) ও রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার আফরোজা (৩৭)।
এদিকে শনিবার সন্ধ্যা থেকে পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় আরও পাঁচজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে রমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের শরীরের ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
তারা হলেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর আয়েশা খাতুন (৬৫) ও ফুলবাড়ির ফাতেমা বেগম (৬০), নীলফামারীর রহিমা বেগম (৬২), দিনাজপুরের ফুলবাড়ি উপজেলার বুললি আক্তার (৩০) এবং লালমনিরহাটের আদিতমারির সফুরা বেগম (৫০)।
রমেক বার্ন ইউনিট সূত্র জানা গেছে, গত ডিসেম্বরে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৪ জন। বর্তমানে বার্ন ইউনিটে ২৯ জন চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের প্রত্যেকেরই শরীরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পুড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে রমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. আবদুল হামিদ পলাশ জানান, অগ্নিদগ্ধ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। অসাবধানতাবশত তারা দগ্ধ হয়েছেন। শীতের হাত থেকে বাঁচতে আগুনের উত্তাপ নেওয়ার বিষয়ে জনগণের সচেতনতা জরুরি।