মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চীনের প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ায় ২০২৩ সাল বিশ্ব অর্থনীতির জন্য ২০২২ সালের চেয়ে কঠিন হবে বলে সতর্ক করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা।
স্থানীয় সময় রবিবার (১ জানুয়ারি) সিবিএস এর আয়োজনে‘ফেস দ্য নেশন’ অনুষ্ঠানে আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা এ সতর্কতা দেন।
তিনি বলেছেন, বিশ্বের এক-তৃতীয়াংশ অর্থনীতি মন্দার মধ্যে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর কারণ তিনটি বড় অর্থনীতি, ইউএস, ইইউ, চীন, সবই একযোগে ধীর হয়ে যাচ্ছে।
ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং তীব্রভাবে ক্রমবর্ধমান সুদের হারসহ মাথাব্যথার মধ্যে অক্টোবরে আইএমএফ তার বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসে জুলাইয়ে ২.৯ শতাংশ থেকে ২.৭ শতাংশে কমিয়ে দেওয়ার পরে এই মন্তব্য করা হয়েছে।
জর্জিয়েভা বলেছেন, চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। ৪০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধি বা তার নীচে বাড়তে পারে। কারণ, অতিকঠোর ‘শূন্য-কোভিড’ নীতি ভেঙে দেওয়ার পরে করোনা শনাক্ত বেড়েছে।
তিনি বলেন, এই ঘটনা পূর্বে কখনও দেখা যায়নি। পরের বছরের দিকে তাকালে, তিন, চার, পাঁচ, ছয় মাসের জন্য কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করার অর্থ হবে চীন জুড়ে বুশফায়ার কোভিড কেস। আমি গত সপ্তাহে চীনে ছিলাম, শহরের একটি বুদ্বুদে যেখানে ‘জিরো কোভিড’ আছে। তবে একবার চীনারা ভ্রমণ শুরু করলে তা স্থায়ী হবে না।
জর্জিভা জানান, তিনি আশা করেছিলেন যে বছরের শেষের দিকে চীনের প্রবৃদ্ধি উন্নত হবে তবে এর দীর্ঘমেয়াদী গতিপথ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
আইএমএফ প্রধান বলেন, কোভিডের আগে, চীন বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির ৩৪, ৩৫, ৪০ শতাংশ প্রদান করবে। এটা আর করছে না। এটা আসলে এশিয়ান অর্থনীতির জন্য বেশ চাপের বিষয়। আমি যখন এশীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলি, তারা সবাই এই প্রশ্ন দিয়ে শুরু করেন, ‘চীনের সঙ্গে কী ঘটতে যাচ্ছে? চীন কি প্রবৃদ্ধির উচ্চ স্তরে ফিরে যাবে?
তিনি আরও বলেন, ইউক্রেনের যুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এই বছর ব্লকের অর্ধেক মন্দার মধ্যে পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। মার্কিন অর্থনীতি তার স্থিতিস্থাপকতার জন্য দাঁড়িয়েছে এবং এই বছর সংকোচন এড়াতে পারে।
সূত্র: আলজাজিরা।