সকল জলপনা কল্পনা অবসন করে অ বশেষে বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্প ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগার-গাঁও পর্যন্ত চলাচল শুরু করবে। অবশ্য উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করার কথা থাকলেও আপাতত: আগার-গাও পর্যন্ত চলবে। মতিঝিল পর্যন্ত চলাচলের জন্য নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে চলেছে। সেই সাথে প্রকল্প কমলাপুর রেল স্টেশন পর্যন্ত সম্প্রসারিত করা হয়েছে। সম্প্রসারিত অংশে এখনো কাজ শুরু হয়নি। রাজধানী উত্তরা থেকে মিরপুর হয়ে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে। এরপর বেহাল সড়ক, ধুলাবালি, যানজট ও জলাবদ্ধতা মিলিয়ে কয়েক মাস আগার-গাও মিরপুর এলাকা ছিল অনেকের কাছে দুর্ভোগের আরেক নাম। আর যানজটের যন্ত্রণায় অস্থির মানুষ বারবার হা হুতাশ করেছেন কবে শেষ হবে এ কাজ?
২০১৩ সালে অতি জনবহুল ঢাকা মহানগরীর ক্রমবর্ধমান যানবাহন সমস্যা ও পথের দু:সহ যানজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়, যার অধীনে প্রথম বারের মতো ঢাকায় মেট্রোরেল স্থাপনের পরিকল্পনা করা। প্রথম পযায়ে নির্মানের জন্য উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১ কিলোমিটার দীঘ পথ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়। সেই মোতাবেক ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেল চলাচল উদ্বোধন করবেন।
মিরপুর ১২ থেকে আগারগাও পর্যন্ত রোকেয়া সরণীর দু’পাশে অসংখ্য আসবাবপত্র, পর্দা, হাডওয়ার সহ নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মেট্রোরেলের কাজের কারণে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অনেক গুলোরই লালবাতি জ্বলে গেছে। কেউ কেউ ব্যবসা গুটিয়ে ফেলেছেন কেউ কেউ বহু কষ্টে ব্যবসা ধরে রেখেছেন। আগামী দিনের সম্ভাবনার কথা ভেবে। চলমান সময়ে মেট্রোরেল চলাচলের খবরে এলাকার ব্যবসায়ীরা নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন। গড়ে উঠেছে নতুন নতুন দোকান। ফাস্ট ফুড, খাবার দোকানসহ নতুন নতুন দোকান গড়ে উঠছে। ঘরের আসবাবপত্র, পর্দা ,হাডওয়ার সহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও মনে করছেন মেট্রোরেল চালু হলে মানুষের যাতায়াত বাড়বে। বেচাকেনায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
রোকেয়া সরণীর দু’পাশের পুরাতন ইমারত গুলো সংস্কারেজর কাজ চলছে। নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কিন্তু আগারগাও পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হলে যানজটে কতটা প্রভাব পড়বে তা বলা যাচ্ছেনা। কারণ অধিকাংশ যাত্রীই মতিঝিলে অফিস করতে যান। তাদের সেই গনপরিবহনের ওপরই নির্ভরশীল থাকতে হবে। ফলে যানজটের যুদ্ধ সহসা শেষ হচ্ছে না। তবে নির্মাণ কাজের ধুলাবালিময় পরিবেশ কিছুটা দূর হলেও পথচারীদের বিড়ম্বনা থাকছেই। কাজেই মেট্রোরেলের অবশিষ্ট কাজ যতদ্রুত তম সময়ে শেষ করা যায়, ততোই যাত্রীদের দুর্ভোগ কমবে। সেই সাথে আশা করবো, রোকেয়া সরণীর দু’পাশের ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা নিবিঘ্নে, নিরঝনযা করতে পারেন।