1. admin@handiyalnews24.com : admin :
  2. tenfapagci1983@coffeejeans.com.ua : cherielkp04817 :
  3. ivan.ivanovnewwww@gmail.com : leftkisslejour :
   
চাটমোহর,পাবনা শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:০৩ অপরাহ্ন

ঘন কুয়াশায় উত্তরাঞ্চলে জনজীবনে দুর্ভোগ গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, শৈত্যপ্রবাহ

হান্ডিয়াল নিউজ ডেস্কঃ
  • আপডেট সময় : বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ , ৬.২১ অপরাহ্ণ
  • ১৫৪ বার পড়া হয়েছে

উত্তরাঞ্চলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। গত কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশার সঙ্গে বেড়েছে ঠাণ্ডা বাতাসের পরিমাণও। সেই সঙ্গে কমে আসছে তাপমাত্রাও। আবার কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে বইছে শৈত্যপ্রবাহ। ফলে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষেরা। কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে দুমুঠো ভাতের সংগ্রামে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। বেশিরভাগ সময় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে প্রান্তিক এ জনপদে। সকালে ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পথঘাট। এই সময়ে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো। ঘটছে দুর্ঘটনাও। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের।
পঞ্চগড়ে মঙ্গলবার সর্বনিন্ম  তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের তীব্রতা বেশি থাকছে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত। কোনো কোনো দিন সকাল ১০টার আগে সূর্যের দেখা মিলছে না। পরে সূর্যের দেখা মিললেও তাতে কাক্সিক্ষত উত্তাপ মিলছে না। আবার বিকেল গড়াতেই তাপমাত্রা নামতে শুরু করে। সন্ধ্যা নামে সঙ্গে কুয়াশাপাত শুরু হয়। রাতভর বৃষ্টির মতো ঝরে কুয়াশা। সেই সঙ্গে উত্তরে ঠা-া বাতাসে হাড়কাঁপা শীত অনুভূত হচ্ছে।

সকালে ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পথঘাট। এই সময়ে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো। ঘটছে দুর্ঘটনাও। শীতে নিম্ন আয়ের মানুষেরা কষ্টে রাত কাটাচ্ছেন। অনেকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রতিদিন আসছে অর্ধশত শিশু ও বৃদ্ধ। ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া,  স্বর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তারা। ১০০ শয্যার হাসপাতালটিতে দ্বিগুণ রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

 

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, দিন দিন শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে। ডিসেম্বরের শেষের এই কয়েকদিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান বলেন, আমরা সরকারিভাবে ২২ হাজার ৬০০ শীতবস্ত্র পেয়েছি। তা পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া আরও বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে তা শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে। এছাড়া বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জেলার নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে।
চাটমোহর, পাবনা ॥ উত্তরের হিমেল হাওয়া অব্যাহত থাকায় ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে চলনবিল অধ্যুষিত এলাকা। এ অঞ্চলে পৌষের শীত আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত শিশু ও বয়স্ক মানুষ। চলছে চলনবিল অঞ্চলে মাঝারি শীত ও ঘন কুয়াশা। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে কুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে ঠা-া বেড়েছে। ভোরের গাঢ় কুয়াশায় প্রকৃতিতে সূর্যের দেখা মিলছে না সহজে। রাত ও ভোরে গাড়ি চালাতে হচ্ছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
পৌষের মাঝামাঝিতে অনেকটাই জেঁকে বসেছে শীত। সন্ধ্যার পর শীতের প্রকোপ বাড়ার কারণে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে রাস্তা-ঘাট। কুয়াশায় ভিজে যাচ্ছে মাঠ-ঘাট। মঙ্গলবার ভোর রাতে চাটমোহরের আকাশে মেঘের ডাক ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। মেঘাচ্ছন্ন থাকায় দিনের বেলাতেই আঁধার নেমে আসে। শীতের কবল থেকে বাঁচার জন্য গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায় লোকজন খড়কুটো জ্বালিয়ে গা গরম করতে দেখা যায়। এ অবস্থা অব্যাহত থাকায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চাটমোহর উপজেলায় সরকারিভাবে ১টি পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে ৫ হাজার ৮৮০ পিস কম্বল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

এই সংবাদটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো সংবাদ
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি। সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত © ২০২৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।