উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে রংপুর সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ।
আজ মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, চলবে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। তীব্র কুয়াশা ও শীত উপেক্ষা করে দীর্ঘলাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। ইভিএমে ভোট দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত তারা।
২১ নম্বর ওয়ার্ডের আলমনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে গিয়ে আঙুলের ছাপ না মেলায় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিতে পারেননি জাতীয় পার্টির (জাপা) মেয়রপ্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী হোসনে আরা ডালিয়া ভোট দিয়েছেন। নগরীর ২২৯টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট নেওয়া হচ্ছে।
এবারের রসিক নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করলেও বিএনপি মেয়র পদে কোনো প্রার্থী দেয়নি। পাশাপাশি কোনো প্রার্থীকে সমর্থনও দেয়নি দলটি। এ নির্বাচনে মোট প্রার্থী রয়েছেন ২৬০ জন। মেয়র পদে ৯ জন ও কাউন্সিল পদে রয়েছেন ১৮৩ জন। এ ছাড়া সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে আছেন, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন।
রংপুরে ৩৩টি ওয়ার্ডে মোট দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ২২৯টি কেন্দ্রে এবারের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ইসির যুগ্ম সচিব আসাদুজ্জামান বলেন, ভোটগ্রহণ ঘিরে প্রতিটি কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছে। প্রতিটি সাধারণ কেন্দ্রে ১৫ এবং ঝুঁকিপূর্ণ ৮৬টি কেন্দ্রে ১৬ জনের বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া আচরণবিধি নিশ্চিত করতে নিয়োগ করা হয়েছে ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন। একইসঙ্গে নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধের বিচার করতে ১৬ জন ম্যাজিস্ট্রেটকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, নিরাপত্তার জন্য টিম মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স নিয়োজিত আছে নির্বাচনি এলাকায়। প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, সিসি ক্যামেরায় কোনো অনিয়ম দেখা গেলেই গাইবান্ধা-৫ আসনের মত ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে।