ঢাকা , বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

হাতে পবিত্র কোরআন লিখলেন ৯ বছরের শিশু

ভারতের কেরালা রাজ্যের ৯ বছর বয়সী শিশু মুহাম্মদ মাদলাজ এক অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করেছে। সে প্রায় আড়াই বছর ধরে নিয়মিত চেষ্টায় পবিত্র কোরআন সম্পূর্ণ নিজ হাতে লিখেছেন। এই অনন্য কাজটি তার গভীর ধর্মীয় অনুরাগ, অধ্যবসায় সৃজনশীল মানসিকতার উজ্জ্বল নিদর্শন মনে করছে সবাই।

 

২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে, যখন তার বয়স মাত্র ছয় বছর, তখন স্থানীয়ভাবে আয়োজিত সাত বছরের নিচের শিশুদের জন্য একটি প্রতিযোগিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কুরআন লেখার কাজ শুরু করে মাদলাজ।

সে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে এ-৪ সাইজের কাগজে পেন্সিল দিয়ে কুরআন লিখত এবং আরবি ক্যালিগ্রাফির নান্দনিকতা ও শুদ্ধভাবে তাজবিদসহ লেখার নিয়মাবলি যথাযথভাবে অনুসরণ করত।

তার পরিবার তাকে একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দেয় এবং তার কাজের অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে। তার মা প্রতিদিন তার হাতে লেখা অংশগুলো পর্যালোচনা করতেন এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন করতেন। অবশেষে, ২০২৫ সালের ২৬ মে তার এই কাজ সম্পন্ন হয়।

লিখিত কুরআনের এই কপি পরবর্তীতে বহু হাফেজ (নারী ও পুরুষ) দ্বারা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করা হয়, যাতে লেখা কুরআনটি অনুমোদিত মুসহাফের সঙ্গে পুরোপুরি মিল রয়েছে কি না তা নিশ্চিত করা যায়। কুরআনের প্রত্যেকটি পারা কয়েকবার করে পরীক্ষা করা হয়েছে দু’মাসব্যাপী এই যাচাইকরণ প্রক্রিয়ায়।  সূত্র: ইকনা

 

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধারের নামে ঋণের ফাঁদ পা দিলেই মাথায় হাত কেরানীগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ঋণজাল

হাতে পবিত্র কোরআন লিখলেন ৯ বছরের শিশু

আপলোড সময় : ০৮:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫

ভারতের কেরালা রাজ্যের ৯ বছর বয়সী শিশু মুহাম্মদ মাদলাজ এক অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জন করেছে। সে প্রায় আড়াই বছর ধরে নিয়মিত চেষ্টায় পবিত্র কোরআন সম্পূর্ণ নিজ হাতে লিখেছেন। এই অনন্য কাজটি তার গভীর ধর্মীয় অনুরাগ, অধ্যবসায় সৃজনশীল মানসিকতার উজ্জ্বল নিদর্শন মনে করছে সবাই।

 

২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে, যখন তার বয়স মাত্র ছয় বছর, তখন স্থানীয়ভাবে আয়োজিত সাত বছরের নিচের শিশুদের জন্য একটি প্রতিযোগিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কুরআন লেখার কাজ শুরু করে মাদলাজ।

সে প্রতিদিন এক ঘণ্টা করে এ-৪ সাইজের কাগজে পেন্সিল দিয়ে কুরআন লিখত এবং আরবি ক্যালিগ্রাফির নান্দনিকতা ও শুদ্ধভাবে তাজবিদসহ লেখার নিয়মাবলি যথাযথভাবে অনুসরণ করত।

তার পরিবার তাকে একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে দেয় এবং তার কাজের অগ্রগতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে। তার মা প্রতিদিন তার হাতে লেখা অংশগুলো পর্যালোচনা করতেন এবং প্রয়োজনীয় সংশোধন করতেন। অবশেষে, ২০২৫ সালের ২৬ মে তার এই কাজ সম্পন্ন হয়।

লিখিত কুরআনের এই কপি পরবর্তীতে বহু হাফেজ (নারী ও পুরুষ) দ্বারা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যালোচনা করা হয়, যাতে লেখা কুরআনটি অনুমোদিত মুসহাফের সঙ্গে পুরোপুরি মিল রয়েছে কি না তা নিশ্চিত করা যায়। কুরআনের প্রত্যেকটি পারা কয়েকবার করে পরীক্ষা করা হয়েছে দু’মাসব্যাপী এই যাচাইকরণ প্রক্রিয়ায়।  সূত্র: ইকনা