কাতার বিশ্বকাপের শিরোপা নির্ধারণী লড়াইতে রোববার (১৮ ডিসেম্বর) ইউরোপীয় শক্তি ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে লাতিন শক্তি আর্জেন্টিনা। লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে ফাইনালটি শুরু হবে রাত ৯টায়। দুদলের সামনেই তৃতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের হাতছানি। যেখানে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বসেরা হবার সুযোগ ফরাসিদের। আর ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘোচানোর সুযোগ লে আলবিসেলেস্তেদের।
মরুর বুকে এক মাসের ফুটবল মহাযুদ্ধের শেষ রোমাঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে পৃথিবী। সোনার ট্রফি জয়ে মুখোমুখি ইউরোপ ও লাতিন ফুটবল শক্তি। পাওয়ার ফুটবল বনাম ছন্দময় ফুটবলের এ লড়াই মঞ্চায়নে তৈরি আধুনিক স্থাপত্যের নিদর্শন লুসাইল স্টেডিয়ামও। আর এই লড়াইয়ের অপেক্ষায় আছেন সমর্থকরাও।
১৯৯৮ সালে প্রথম শিরোপা জয়ের পর থেকে ফুটবল শক্তিতে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে ফ্রান্স। ২০ বছরের ব্যবধানে জিতে নিয়েছে দ্বিতীয় শিরোপাও। রাশিয়ায় জয় করা ট্রফি ধরে রাখতে, কাতারেও ঘাঁটি গেড়েছেন লা ব্লুজরা। দিদিয়ের দেশমের গুরুগিরিতে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বজয়ের আনন্দে মাততে চান এমবাপে-গ্রিজম্যানরা।
ভাইরাসের আক্রমণ সামলে ফরাসি দুর্গ রক্ষায় বর্মের ভূমিকায় নামবেন ভারানে-কোনাতো-কুমানরা। মধ্যমাঠে ব্যূহ রচনায় ফিরবেন র্যাবিয়ট। মধ্যমণি গ্রিজম্যানের সরবরাহ করা বলে আক্রমণ শানাবেন এমবাপে, ডাম্বেলে ও জিরুদ। শিরোপা স্বপ্নের পাশাপাশি গোল্ডেন বল ও বুটের অনুপ্রেরণা রয়েছে এমবাপের জন্য।
ফরাসিদের টানা দ্বিতীয় জয়ের বিপরীতে ৩৬ বছরের অশ্রু, বঞ্চনা ও সমালোচনার জবাব দেবার মঞ্চ আর্জেন্টিনার জন্য। বাতিস্তুতা, ওরতেগা, রিকুয়েলমে, ক্রেসপো, আয়ালা, তেভেজদের শোকগাথা পেরিয়ে, ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে যোগ হয় হিগুয়েন-আগুয়েরোর অশ্রুগাঁথা। স্কালোনির গুরুগিরিতে কোপার খরা কাটানোর পর এবার বিশ্বকাপ অপেক্ষার অবসানে একাট্টা লে আলবিসেলেস্তেরা।
গোলবারের অতন্দ্র প্রহরী এমিলিয়ানো মার্তিনেজের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়াবেন অভিজ্ঞ ওতামেন্দি ও তরুণ রোমেরো-লিসান্দ্রোরা। মধ্যমাঠে বল দখলের লড়াই চালাবেন ডি পল, অ্যালিস্টার, পারাদেশ। এখানে সারপ্রাইজ প্যাকেজও রাখতে পারেন কোচ। আর আক্রমণের কামান দাগাবেন মেসি ও আলভারেজ। যদিও মেসিকে বল থেকে দূরে রাখার হুমকি দিয়েছে ফ্রান্স। কিন্তু এ ম্যাচ মেসির জন্য তো শুধু বিশ্বকাপের ফাইনাল নয়; সর্বকালের সেরার সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হবার শেষ সিঁড়িও।