পাবনা সদর উপজেলার ভাঁড়ারায় বখাটের ছুরিকাঘাতে ফরিদ হোসেন (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
ফরিদ তার মেয়েকে বখাটে অনিক হোসেনের সাথে বিয়ে না দেওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত আটটার দিকে ভাঁড়ারা শাহী মসজিদের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফরিদের বাড়ি ভাঁড়ারা ইউনিয়নের মধ্য জামুয়া গ্রামে। বখাটে অনিক হোসেন (২৬) একই গ্রামের ইয়াজ উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে।
ভাঁড়ারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ খান জানান, বছর খানেক আগে ফরিদ হোসেনের মেয়ের সাথে বখাটে অনিক হোসেনের বিয়ের এনগেজমেন্ট হয়। বখাটেপনার কারণে পরে সেই বিয়ের এনগেজমেন্ট বাতিল করেন ফরিদ হোসেনের পরিবার। এরপর গত মাস ছয়েক আগে ফরিদ হোসেন তার মেয়েকে অন্যত্র বিয়ে দেন। তারপর থেকে বখাটে অনিক নানাভাবে ফরিদের পরিবারের উপর নানাভাবে মানষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল।
এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার রাতে ভাঁড়ারা শাহী মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হওয়ার পর ফরিদ হোসেনকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় বখাটে অনিক। স্থানীয়রা তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় আড়াইশ’ শয্যা বিশিষ্ট পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছ। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। হামলাকারীকে ধরতে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।