ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

৮ টাকার ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ৬০০ টাকার পেথিড্রিন

  • অনলাইন ডেস্কঃ
  • আপলোড সময় : ০৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • ১৭৪ বার দেখা হয়েছে।

সংগৃহীত ছবি

আট টাকার ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে সন্তান জন্মের সময় ব্যথা উপশমের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ‘জি-প্যাথিডিন’ ইনজেকশন তৈরি করে ৭-৮ বছর ধরে নকল করে বাজারজাত করে আসছিল রাজধানীর একটি চক্র।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিল, বাড্ডা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এসব তথ্য জানান ডিএমপি গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

 

গ্রেপ্তাররা হলেন- আলমগীর খান (৪০), মাসুদ রানা (২৯) ও আহসান হাবীব শাওন (৩০)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ২০০ পিস জি-প্যাথিডিন ইনজেকশন, জি-প্যাথিডিনের অ্যাম্পুল ২২০পিস, এক হাজার ১০ পিস জি-ডায়াজিপামের অ্যাম্পুল, ৫২০ পিস জি-প্যাথিডিনের খালি বাক্স, ২০০ পাতা জি-প্যাথিডিন ইনটেক স্টিকার, ৫ কেজি এসিডসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।

 

জানা গেছে, চক্রটি রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকা থেকে ‘জি-ডায়াজিপাম’ ঘুমের ইনজেকশন প্রতিটি ৮ টাকায় কিনে বাসায় নিয়ে যায়। পরে ইনজেকশন অ্যাম্পুলকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় জি-প্যাথিডিন ইনজেকশনের নামে নামকরণ করতো তারা। আর বাজারে এসব নকল ‘জি-প্যাথিডিন’ প্রতিটি ৬০০ টাকায় বাজারজাত করতো চক্রটি।

 

এ বিষয়ে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘রাজধানীর অনেক খ্যাতনামা হাসপাতালের নিচের বিভিন্ন ফার্মেসিতে এসব ওষুধ ব্যবহার করা হয়। আমরা বারিধারা জেনারেল হাসপাতালের নিচের ফার্মাসিস্টের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পেয়েছি, তাকে আটক করা হয়েছে। একইসঙ্গে তদন্ত করে যাদের নাম পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

তিনিবলেন, ‘এসব ভেজাল ওষুধ বিক্রি করে একদিকে মুনাফা করে আসছিল, অন্যদিকে রোগীদের ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছে চক্রটি। মিটফোর্ডে কারা কারা এসব ঘুমের ইনজেকশন বিক্রি করত এবং কোন কোন স্থানে এসব প্যাথিডিন বিক্রি করা হচ্ছে এসব বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

 

এই প্যাথিডিন ইনজেকশন প্রয়োগে কেউ মৃত্যুঝুঁকিতে পড়েছে কি-না এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান হারুন অর রশীদ।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধারের নামে ঋণের ফাঁদ পা দিলেই মাথায় হাত কেরানীগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ঋণজাল

৮ টাকার ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ৬০০ টাকার পেথিড্রিন

আপলোড সময় : ০৯:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

আট টাকার ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে সন্তান জন্মের সময় ব্যথা উপশমের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ‘জি-প্যাথিডিন’ ইনজেকশন তৈরি করে ৭-৮ বছর ধরে নকল করে বাজারজাত করে আসছিল রাজধানীর একটি চক্র।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর মতিঝিল, বাড্ডা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) এসব তথ্য জানান ডিএমপি গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

 

গ্রেপ্তাররা হলেন- আলমগীর খান (৪০), মাসুদ রানা (২৯) ও আহসান হাবীব শাওন (৩০)। গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ২০০ পিস জি-প্যাথিডিন ইনজেকশন, জি-প্যাথিডিনের অ্যাম্পুল ২২০পিস, এক হাজার ১০ পিস জি-ডায়াজিপামের অ্যাম্পুল, ৫২০ পিস জি-প্যাথিডিনের খালি বাক্স, ২০০ পাতা জি-প্যাথিডিন ইনটেক স্টিকার, ৫ কেজি এসিডসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়।

 

জানা গেছে, চক্রটি রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকা থেকে ‘জি-ডায়াজিপাম’ ঘুমের ইনজেকশন প্রতিটি ৮ টাকায় কিনে বাসায় নিয়ে যায়। পরে ইনজেকশন অ্যাম্পুলকে বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় জি-প্যাথিডিন ইনজেকশনের নামে নামকরণ করতো তারা। আর বাজারে এসব নকল ‘জি-প্যাথিডিন’ প্রতিটি ৬০০ টাকায় বাজারজাত করতো চক্রটি।

 

এ বিষয়ে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘রাজধানীর অনেক খ্যাতনামা হাসপাতালের নিচের বিভিন্ন ফার্মেসিতে এসব ওষুধ ব্যবহার করা হয়। আমরা বারিধারা জেনারেল হাসপাতালের নিচের ফার্মাসিস্টের সঙ্গে যুক্ত থাকার প্রমাণ পেয়েছি, তাকে আটক করা হয়েছে। একইসঙ্গে তদন্ত করে যাদের নাম পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

 

তিনিবলেন, ‘এসব ভেজাল ওষুধ বিক্রি করে একদিকে মুনাফা করে আসছিল, অন্যদিকে রোগীদের ঝুঁকির মুখে ফেলে দিচ্ছে চক্রটি। মিটফোর্ডে কারা কারা এসব ঘুমের ইনজেকশন বিক্রি করত এবং কোন কোন স্থানে এসব প্যাথিডিন বিক্রি করা হচ্ছে এসব বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

 

এই প্যাথিডিন ইনজেকশন প্রয়োগে কেউ মৃত্যুঝুঁকিতে পড়েছে কি-না এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান হারুন অর রশীদ।