দেশের ৪৫ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারের কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারগুলো উদ্বোধন করেন তিনি।
যার মাধ্যমে দেশের সাত বিভাগের ৩৯ জেলার ১৩৫ উপজেলায় সমন্বিত চক্ষু চিকিৎসাব্যবস্থা চালু হয়েছে। এতে দেশের প্রায় ৫ কোটি মানুষ উন্নত চক্ষু চিকিৎসা সেবার আওতায় আসবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্যান্য চিকিৎসা সেবার সঙ্গে অবশ্যই চোখের চিকিৎসাকেও গুরুত্ব দিতে হবে।আমরা চাই দেশের মানুষ যেন সঠিক চিকিৎসা সেবা পান। এর জন্য চোখের চিকিৎসা ফ্রি করে দিচ্ছি।
অন্যান্য সেবার সঙ্গে অবশ্যই চোখের চিকিৎসাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, আমাদের এ উদ্যোগের ফলে অনেক অন্ধ মানুষ চোখের আলো ফিরে পেয়েছেন। উপজেলা হাসপাতালগুলোতে চোখের সব ধরনের সমস্যায় সেবা নিতে পারবেন রোগীরা।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা এর আগে ৭০টি, এখন ৪৫টি উপজেলায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছি। লোকজন যেন সহজে হাসপাতালে আসতে পারেন সেজন্য রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছি। উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপনে যারা আমাকে পরামর্শ দিয়েছেন, তাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।এক্ষেত্রে ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, ডা. দ্বীন মোহাম্মদের কথা বিশেষভাবে বলতে চাই।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালকে পাঁচ হাজার শয্যার করার পরিকল্পনা আছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, হাসপাতালের যন্ত্রপাতি ব্যবহারে প্রত্যেককে যত্নবান হতে হবে। করোনা এবং যুদ্ধের কারণে নির্মাণকাজ শুরু করতে পারিনি। শিগগিরিই করব।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদসহ অনেকে।