গত ১০ বছরে পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল চুরি করেছেন মো. জসিম। এ কাজই তাকে ‘বাইক’ জসিম নামে পরিচয় করিয়ে দেয়। সে মূলত রাতে বাসাবাড়ির পার্কিংয়ে রাখা মোটরসাইকেলই চুরি করে। আর দিনের বেলায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালায়। তার একটি দল রয়েছে, সেই দলের সদস্য সংখ্যা ২০ জন। এই ২০ জনের দলটি কয়েকটি গ্রুপে বিভক্ত। এদের মধ্যে একটি গ্রুপ মোটরসাইকেল চুরি করে অন্য আরেকটি গ্রুপের কাছে হস্তান্তর করে। অন্যদিকে আরেকটি গ্রুপ মোটরসাইকেলগুলোকে মেরামত করে আরও আরেকটি গ্রুপের সহায়তায় বিক্রি করে। প্রতিটি গ্রুপই খুব কম সময়ে হস্তান্তর প্রক্রিয়া করে।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে মিরপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বাইক’ জসিমের এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) মিরপুর বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. জসীম উদ্দীন মোল্লা।
পুলিশ জানায়, গত বছরের (২০২২) ডিসেম্বর মাসে মিরপুর এলাকার একটি বাসার গেট কেটে দুইটি মোটরসাইকেল চুরি হয়। ওই ঘটনায় একটি মামলা মিরপুর থানায় দায়ের করেন ভুক্তভোগী। মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে বাইক জসিমের নাম সামনে চলে আসে। গত ১৪ জানুয়ারি তাকে নারায়ণগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার হেফাজত থেকে ৪টি চোরাই মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়। ওই সময় এ চক্রের চারজনকে আমরা গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।
পরিচয় দিতে গিয়ে পুলিশের কর্মকর্তা বলেন, জসিমের বাবা একজন কৃষক। মাদারীপুর জেলার বেলদারহাট গ্রামের বাড়িতে কৃষি কাজ করেই তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু তার ছেলেরা সবাই অপরাধ জগতে বেপরোয়া। জসিমের বড় ভাই হানিফ ২০১৮ সালে এবং তার ছোট ভাই ইয়াসিন ২০১৪ সালে ডাকাতির অপরাধে জড়িয়ে মারা যায় বলে জানা গেছে।
চোরাই মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চক্রটি কীভাবে পরিবর্তন করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোটরসাইকেলের কাগজ তারা পরিবর্তন করতে পারে না।