ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

১০ বছরেও নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক, দুর্ভোগে ৭ গ্রামের মানুষ

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ১০ বছর আগে ব্রিজ নির্মাণ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক। এতে দুর্ভোগে রয়েছেন এ সড়কে চলাচলকারী ৭ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলায় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে সরকারের সাড়ে ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সেতুটি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ব্রিজটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। তবে ব্রিজের দুপাশে মাটি ভরাট করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় কার্যত সড়কটি সেই থেকে অচল হয়ে পড়েছে।

এতে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলার দুবলাবাড়ি, পুরাতন যাদুরচর, ঝাউবাড়ি,বকবান্ধা, খেওয়ারচর, কাশিয়াবাড়ি, বাওয়াইর গ্রামের হাজারও মানুষকে।

রোববার (১৩ জুলাই) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মূল সড়ক থেকে ব্রিজটি প্রায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ব্রিজের দুপাশে মাটি ভরাট করে নির্মাণ করা হয় নাই সংযোগ সড়ক।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় উপজেলার পুরাতন যাদুরচর এলাকার ময়নাল মেম্বারের বাড়ির পাশে ভেঙে যাওয়া সড়কে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ ব্রিজ নির্মাণে সরকারের মোট ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৩ টাকা ব্যয় হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মজিবর রহমান কালবেলাকে বলেন, আগে এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার হাজারও মানুষ চলাচল করতেন। ব্রিজ নির্মাণের পর এর দুপাশে মাটি দিয়ে ভরাট না করায় ওই সময় থেকে সচল রাস্তাটি অচল হয়ে গেছে।

দুবলাবাড়ি বাজার এলাকার বাসিন্দা সহিদ মাসউদ আহমেদ, কৃষক জয়েন উদ্দিন, আব্দুল গণী মন্ডল, রুহুল আমিন কালবেলাকে বলেন, দুবলাবাড়ি বাজার থেকে কর্তিমারী বাজারে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রতিদিন পায়ে হেঁটে ৩ কিলোমিটার চলাচল করতে হয়। এর কোনো বিকল্প নাই। ব্রিজটিতে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণসহ পাঁকা সড়ক নির্মাণের দাবি জানান তারা।

ব্রিজটি উপজেলার যাদুরচর ও রৌমারী সদর এই দুই ইউনিয়নের সীমান্ত সড়কে হওয়ায় এর দিকে কারও কোনো নজর নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. শামসুদ্দিন কালবেলাকে বলেন, কাজটি আমার সময়ের নয়। এ বিষয়টি আমার জানা ছিল না এবং সেখানকার জন প্রতিনিধিও আমাদের জানায়নি। সামনে বরাদ্দ এলে কাজটি করা হবে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধারের নামে ঋণের ফাঁদ পা দিলেই মাথায় হাত কেরানীগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ঋণজাল

১০ বছরেও নির্মাণ হয়নি সংযোগ সড়ক, দুর্ভোগে ৭ গ্রামের মানুষ

আপলোড সময় : ১১:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে ১০ বছর আগে ব্রিজ নির্মাণ হলেও হয়নি সংযোগ সড়ক। এতে দুর্ভোগে রয়েছেন এ সড়কে চলাচলকারী ৭ গ্রামের ১০ হাজার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে এ অবস্থা চলায় কার্যত অচল হয়ে পড়েছে সরকারের সাড়ে ৩২ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সেতুটি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ২০১৬ সালের জুলাই মাসে ব্রিজটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। তবে ব্রিজের দুপাশে মাটি ভরাট করে সংযোগ সড়ক নির্মাণ না করায় কার্যত সড়কটি সেই থেকে অচল হয়ে পড়েছে।

এতে দীর্ঘ ১০ বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে উপজেলার দুবলাবাড়ি, পুরাতন যাদুরচর, ঝাউবাড়ি,বকবান্ধা, খেওয়ারচর, কাশিয়াবাড়ি, বাওয়াইর গ্রামের হাজারও মানুষকে।

রোববার (১৩ জুলাই) সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মূল সড়ক থেকে ব্রিজটি প্রায় ১৫-২০ ফুট উচ্চতায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। ব্রিজের দুপাশে মাটি ভরাট করে নির্মাণ করা হয় নাই সংযোগ সড়ক।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় উপজেলার পুরাতন যাদুরচর এলাকার ময়নাল মেম্বারের বাড়ির পাশে ভেঙে যাওয়া সড়কে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যের এ ব্রিজ নির্মাণে সরকারের মোট ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৩ টাকা ব্যয় হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা মজিবর রহমান কালবেলাকে বলেন, আগে এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার হাজারও মানুষ চলাচল করতেন। ব্রিজ নির্মাণের পর এর দুপাশে মাটি দিয়ে ভরাট না করায় ওই সময় থেকে সচল রাস্তাটি অচল হয়ে গেছে।

দুবলাবাড়ি বাজার এলাকার বাসিন্দা সহিদ মাসউদ আহমেদ, কৃষক জয়েন উদ্দিন, আব্দুল গণী মন্ডল, রুহুল আমিন কালবেলাকে বলেন, দুবলাবাড়ি বাজার থেকে কর্তিমারী বাজারে যাওয়ার একমাত্র সড়ক এটি। ব্রিজে সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রতিদিন পায়ে হেঁটে ৩ কিলোমিটার চলাচল করতে হয়। এর কোনো বিকল্প নাই। ব্রিজটিতে দ্রুত সংযোগ সড়ক নির্মাণসহ পাঁকা সড়ক নির্মাণের দাবি জানান তারা।

ব্রিজটি উপজেলার যাদুরচর ও রৌমারী সদর এই দুই ইউনিয়নের সীমান্ত সড়কে হওয়ায় এর দিকে কারও কোনো নজর নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।

রৌমারী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. শামসুদ্দিন কালবেলাকে বলেন, কাজটি আমার সময়ের নয়। এ বিষয়টি আমার জানা ছিল না এবং সেখানকার জন প্রতিনিধিও আমাদের জানায়নি। সামনে বরাদ্দ এলে কাজটি করা হবে।