চাটমোহর উপজেলার অন্তর্গত হাঁড়িয়াল বা হান্ডিয়াল প্রাচীন উন্নত বন্দর। চাটমোহর হইতে প্রায় ৯ কি.মি. উত্তওে এবং তাড়াশ উপজেলা হতে ৮ কি.মি. দক্ষিনে করতোয়া নদীর তীওে অবস্থিত হান্ডিয়াল। রড়ালব্রজী ষ্টেশন হতে নৌপথে হান্ডিয়াল মাত্র ৮ কি.মি।
পাঠান রাজত্বকালে হান্ডিয়াল, সমাজ, নওগাঁ প্রভৃতি তাদেও ক্রীড়াভূমি ছিল। সম্রাট আকবররের রাজত্বকালে হান্ডিয়ালে একজন সুবাদার ও এজন কাজী থাকতেন। সুবাদারের অধীনে পাঁচ হাজার মুঘল ফৌজ ছিল। তাহারা খানমরিচ, মরিচপুরান, কমল মরিচ প্রভৃতি কেল্লায় বাস করিত। মুঘল আমলে হান্ডিয়াল একটি ব্যবসাকেন্দ্ররুপে গড়িয়া উঠেছিল।
ইষ্ট উন্ডিয়া কোম্পানীর রাজত্বকালে হান্ডিযাল প্রসিদ্ধ বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিগনিত হয়। তৎকালিন রেশম ও সূতী কাপড় ক্রয়ের জন্য এখানে ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী একটি কুঠির ছিল। সমগ্র পাক ভারতে যত রেশম উৎপাদন হত তার পাঁচ ভাগের চারিভাগ হান্ডিয়াল বন্দওে পাওয়া যাইত।
হান্ডিয়াল হইতে ইংল্যান্ড ও অন্যান্য দেশে প্রচুর তুলা এবং সূতী ও রেশম বস্ত্র রপ্তানি করাহত। পাবনার জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মিষ্টার ডান্লপ একবার হান্ডিয়ালে শিকার করিতে আসিয়া বলেন- হান্ডিয়ালের নাম ইংল্যান্ড ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর রোজনামচায় উল্লিখিত আছে। পাবনা ডিষ্ট্রিক গেজেটিয়াওে উল্লেখিত আছেঃ
‘It was once a prosperous trade mart, whice is mentioned under the spelling of Hurrial in Hamiltion’s Est India Gazetter (1828) as one of the three chief towns of Rajshahi, which, it is said,used to produce four-fifth of all the silk raw or manufacutured, used in or exported form Hindustan.Handial was an emporium of sufficient importance to be seat of a commercial residency of the Est India Company.