যশোর আদালতের নির্দেশে ধর্ষণ মামলার আসামির সঙ্গে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়েছে বাদীর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলিসহ দুই পক্ষের আইনজীবীরা।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আসামি পক্ষের আইনজীবী এম এ গফুর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আদালতের হাজতখানায় এ বিয়ে হয়।
জানা গেছে, যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় এক যুবক তার নিকট আত্মীয়ের মাধ্যমে একটি মেয়েকে বিয়ে করে। এ সময় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা বিভিন্ন স্থানে একসঙ্গে থাকতেন। পরে মেয়েটি যুবকের বাড়িতে যেতে চাইলে নানান তালবাহানা শুরু করে। একপর্যায়ে তাদের বিয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে যুবকটি। এ সময় ওই মেয়েটিকে আর বিয়ে করবে না বলেও জানানো হয়। এ ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী গত ৪ জানুয়ারি ধর্ষণের অভিযোগে মণিরামপুর থানায় মামলা করেন।
এদিকে ৫ জানুয়ারি যুবকটিকে আটক করে পুলিশ। এরপরই যুবকের আইনজীবী তার জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করেন। রোববার উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনানি শেষে রোববার বিকেলে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে আদালত প্রাঙ্গণেই তাদের বিয়ে দেওয়ার শর্তে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
আসামি পক্ষের আইনজীবী এম এ গফুর জানান, আদালতের আদেশে বাদী-বিবাদী ও তার স্বজনেরা সন্তুষ্ট।
পিপি এম ইদ্রিস আলী জানান, বাদী ও আসামি পূর্ণবয়স্ক হওয়ায় আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজী ডেকে উভয়পক্ষের আইনজীবীর উপস্থিতিতে হাজতখানার মধ্যেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন করা হয়েছে।