ঢাকা , বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

স্কুলে নেই শৌচাগার, যেতে হয় অন্যের বাড়িতে

ফতেহগাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

স্কুলে ৩০০ জন শিক্ষার্থী এবং ৫ জন শিক্ষিকা। কিন্তু নেই কোনো শৌচাগার। ফলে জরুরি প্রয়োজনে স্কুলটির শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের পাশের বাড়িতে যেতে হচ্ছে।

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউপির ফতেহগাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিগত এক বছর ধরে এমনই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। স্কুলের পুরোনো বিল্ডিং ভেঙে নতুন ভবনের কাজ শুরু করায় এক বছরেও নির্মাণ হয়নি কোনো ব্লগওয়াশ কিংবা শৌচাগার। উপজেলার ১৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শৌচাগার ও ওয়াশব্লক থাকলেও ওই স্কুলটিতে নেই কোনো শৌচাগার। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশও। স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকার পক্ষ থেকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে দায়ের করা হয়েছে আবেদনও।

স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকা বিলকিস বেগম কালবেলাকে বলেন, শৌচাগারের প্রয়োজন পড়লেও আগে লজ্জায় কোনো বাড়িতে যেতাম না। এখন আমাদের বাধ্য হয়ে যেতে হয়। এ বিষয়টি দ্রুত একটি ফয়সালা হবে এই প্রত্যাশা আমাদের।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী তুষার পাল কালবেলাকে জানান, ইতোমধ্যে বিষয়টি কোনো প্রকল্পে দেওয়া যায় কিনা খোঁজখবর নিয়েছি। তবে জুনের আগে কোনো প্রকল্পে দেওয়া এটিকে সম্ভব হচ্ছে না। এরপরেও বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখব।

উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে ছয় মাস আগেও আমরা জনস্বাস্থ্য অফিসকে অবগত করেছি। তবে অস্থায়ীভাবে একটি শৌচাগার নির্মাণ করা হলেও কি অবস্থা সেটির জানি না।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধারের নামে ঋণের ফাঁদ পা দিলেই মাথায় হাত কেরানীগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ঋণজাল

স্কুলে নেই শৌচাগার, যেতে হয় অন্যের বাড়িতে

আপলোড সময় : ০৪:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

স্কুলে ৩০০ জন শিক্ষার্থী এবং ৫ জন শিক্ষিকা। কিন্তু নেই কোনো শৌচাগার। ফলে জরুরি প্রয়োজনে স্কুলটির শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীদের পাশের বাড়িতে যেতে হচ্ছে।

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউপির ফতেহগাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিগত এক বছর ধরে এমনই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। স্কুলের পুরোনো বিল্ডিং ভেঙে নতুন ভবনের কাজ শুরু করায় এক বছরেও নির্মাণ হয়নি কোনো ব্লগওয়াশ কিংবা শৌচাগার। উপজেলার ১৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শৌচাগার ও ওয়াশব্লক থাকলেও ওই স্কুলটিতে নেই কোনো শৌচাগার। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পরিবেশও। স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকার পক্ষ থেকে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে দায়ের করা হয়েছে আবেদনও।

স্কুলটির প্রধান শিক্ষিকা বিলকিস বেগম কালবেলাকে বলেন, শৌচাগারের প্রয়োজন পড়লেও আগে লজ্জায় কোনো বাড়িতে যেতাম না। এখন আমাদের বাধ্য হয়ে যেতে হয়। এ বিষয়টি দ্রুত একটি ফয়সালা হবে এই প্রত্যাশা আমাদের।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী তুষার পাল কালবেলাকে জানান, ইতোমধ্যে বিষয়টি কোনো প্রকল্পে দেওয়া যায় কিনা খোঁজখবর নিয়েছি। তবে জুনের আগে কোনো প্রকল্পে দেওয়া এটিকে সম্ভব হচ্ছে না। এরপরেও বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখব।

উপজেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন কালবেলাকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে ছয় মাস আগেও আমরা জনস্বাস্থ্য অফিসকে অবগত করেছি। তবে অস্থায়ীভাবে একটি শৌচাগার নির্মাণ করা হলেও কি অবস্থা সেটির জানি না।