উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারে মৌসুমে এই উপজেলায় মোট ১৮ হেক্টর পরিমাণ জমিতে তিন জাতের আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হেক্টরে ঈশ্বরর্দী-১৬ জাত, রং বিলাস ২ হেক্টরে ও ১ হেক্টর পরিমাণ জমিতে ফিলিপাইন জাতের ব্ল্যাক সুগার কেইন জাতের আখ।
উপজেলার শিমলা গ্রাম এলাকায় প্রায় দুবিঘা জমিতে ফিলিপাইনের জাতের আখ ব্ল্যাক সুগার কেইন চাষ করা হয়েছে। শিমলা গ্রামের রাজিউল করিম ও আব্দুল আলিম যৌথভাবে এর চাষ করেছেন। দু’বিঘা জমি লিজ নিয়ে এর চাষ করেছেন। ইতিমধ্যেই আখ বিক্রি করা শুরু হয়েছে।
রাজিউল করিম জানান, প্রায় এক বছর আগে বগুড়া জেলার মহাস্থান এলাকা থেকে ফিলিপাইন জাতের ব্ল্যাক সুগার কেইন আখ চারা কিনে এনে দুবিঘা জমিতে আবাদ শুরু করেন। জমি তৈরি, চারা কেনা ও লাগানো আর পরিচর্যায় এযাবত প্রায় দু’লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এগারো মাস বয়সকালে জমি থেকে আখ বিক্রি শুরু করেছেন। প্রতি পিচ আখ পাইকারি ভাবে ৬০/৭০ টাকায় বিক্রী করছেন।
বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা সরাসরি জমি থেকে আখ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তারা এই জাতের আখ চাষে আর্থিকভাবে লাভে আছেন বলে জানান। এবারেও আরো তিন বিঘা জমিতে ফিলিপাইন জাতের ব্ল্যাক সুগার কেইন আখ চাষের জন্য নিজেদের উৎপাদিত চারা লাগানো শুরু করেছেন।
ফিলিপাইন জাতের ব্ল্যাক সুগার কেইন আখ দেখতে দেশীয় আখের মতো হলেও এর ভিন্নতায় মোটা ও নরম এবং রস বেশী পরিমাণ হয় বলে জানা গেছে। একেকটি আখ বারো থেকে পনেরো ফুট লন্বা হয়ে থাকে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সূবর্ণা ইয়াসমিন সূমী বলেন এবারের মৌসুমে গোটা উপজেলায় ১৮ হেক্টর পরিমাণ জমিতে আখ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বাজারে আখের দাম ভালো হওয়ায় কৃষকদের মাঝে আখ চাষে আগ্রহ বেড়েছে।
তিনি আরো জানান, এবারই প্রথম অত্র উপজেলার শিমলা গ্রামে দু’জন কৃষক ফিলিপাইন জাতের ব্ল্যাক সুগার কেইন আখ চাষ করেছেন। বাজারে বালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে কৃষক । আমি ইতিমধ্যেই উক্ত আখ ক্ষেত পরিদর্শন করেছি। যেহেতু এখানে এই জাতের আখের চাষ প্রথম। তাই আমাদের পক্ষ থেকে কৃষকদের নানা পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।