সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সায়দাবাদে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ১৯ জন গুলিবিদ্ধসহ উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় লাইসেন্সকৃত একটি বন্দুক জব্দ ও গুলিবর্ষণকারী যুবক আরিফকে আটক করা হয়েছে।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের বাওইতারা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন, বাওইতারা গ্রামের শফিকুল, শাহাদৎ, ইমদাদুল, ফরিদুল, রাব্বী, রাফি, আব্দুল বাসেত, মিলন, তোতা মিয়া, জাহিদ, আব্দুল ওহাব, নাইস, আব্দুল বারেক, শাহীন, ওমর, শফিকুল হজরত ও সেলিম। এদেরকে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আটক আরিফ হোসেন একই গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত শনিবার সকালে একটি জমির কাগজ উত্তোলনকে কেন্দ্র করে বাওইতারা গ্রামের হজরত আলীর ছেলে দলিল লেখক আলম হোসেনকে একই গ্রামের হেকমতের ছেলে রুবেল মারধর করে। ওই ঘটনার জের ধরে সোমবার সকাল থেকেই দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়।

এ সময় উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটেকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে রুবেল গ্রুপের পক্ষে আরিফ তার লাইসেন্স করা বন্দুক নিয়ে গুলি শুরু করে। এতে ১৯ জন গুলিবিদ্ধ হয়। সংঘর্ষের ঘটনায় আরও অন্তত ১০-১২ জন আহত হয়েছেন।

সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নান্নু খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে। গুলিবর্ষণকারী যুবককে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং তার লাইসেন্সকৃত বন্দুক জব্দ করা হয়েছে।

সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।