সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পাড়ে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক ইজতেমা শুরু হয়েছে। জেলার তাবলিগ জামাতের (নিজাম-সাদ অনুসারী) উদ্যোগে আয়োজিত এ ইজতেমায় লক্ষাধিক মুসল্লির আগমন ঘটেছে।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) ফজরের নামাজের পর আমবয়ানের মধ্যদিয়ে ইজতেমা শুরু হয়। সিরাজগঞ্জ পৌর শহরের রানীগ্রাম এলাকার যমুনা নদীর তীরে প্রায় ৫০ বিঘা জায়গাজুড়ে এ ইজতেমার আয়োজন করা হয়েছে।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এ আঞ্চলিক ইজতেমা।
ইজতেমা পরিচালনা কমিটির সদস্য ডা. এস এম নাজিম উদ্দিন জুয়েল জানান, যমুনা নদীর তীরে স্বেচ্ছাশ্রমে তৈরি করা হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। এতে জেলার ৯টি উপজেলার জন্য ভিন্ন ভিন্ন স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। ইজতেমায় মুসল্লিদের জন্য টয়লেটের ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানি ও ওজুখানার ব্যবস্থা রয়েছে। সেইসঙ্গে একটি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছে। পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকরা ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
ইজতেমায় জেলায় বসবাসকারী মুসল্লি ছাড়াও মেহমান হিসেবে অংশ নিয়েছেন পাবনা, বগুড়া, নাটোর, নওগা, টাঙ্গাইল ও মাদারীপুরের তাবলিগ জামাতের মুরুব্বিরা। এছাড়া ইন্দোনেশিয়া, ভারত ও মালয়েশিয়া থেকে আসা কয়েকটি জামাতের সদস্যরা ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার (এসপি) আরিফুর রহমান মণ্ডল গণমাধ্যমকে বলেন, ইজতেমার স্থান সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে। যাতায়াতের রাস্তায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ট্রাফিক সদস্যরা কাজ করছেন।