ঢাকা , বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে হস্তশিল্পে স্বাবলম্বী হচ্ছে নারী

ছবি সংগৃৃৃহীত

সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলায় চলনবিল উন্নয়ন কেন্দ্র  নামের একটি সংগঠনের মাধ্যমে হস্তশিল্পের কাজ শিখে স্বাবলম্বী হচ্ছে নারীরা। কারিতাস বাংলাদেশ ও রয়েল টাচ হ্যান্ডি ক্রাফটের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সংগঠনটির কার্যালয়ে অনেক নারী এক সঙ্গে কাজ করছেন। কেউ ঝুড়ি বানাচ্ছেন, কেউ কাজ শিখছেন।

কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বাঁশ, বেত, হোগলা পাতা ইত্যাদির ঝুড়ি, ডালা, ব্যাগ, চালন, জুতা সহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা হয় এখানে।  সেখানে প্রায় দুইশ ৭৫ জন নারী প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজে যুক্ত রয়েছেন। এ সমস্ত পণ্য পরবর্তীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে।

হস্তশিল্পের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানে স্বাবলম্বী হচ্ছে নারীরা। অসচ্ছল নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে জেলা উপজেলায় গড়ে তোলা চলনবিল উন্নয়ন কেন্দ্র নামের একটি সংগঠন।

তৈরি হচ্ছে অপরূপ কারুকার্য সম্মিলিত দৃষ্টিনন্দন হস্তশিল্প পণ্য। দেশের গন্ডি পেরিয়ে যা বিশ্ব বাজারেও চাহিদা গড়ে তুলেছে। বিভিন্ন স্থান থেকে উপকরণ সংগ্রহ করে তৈরি হচ্ছে এ হস্তশিল্প। মান ভালো ও দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে নারীদের হাতে তৈরি এসব পণ্যের। হস্তশিল্পের এসব পণ্য মুগ্ধ করেছে দেশি-বিদেশি ক্রেতাদেরও। নারীরা নিপুণ হাতে তৈরি করছেন হোগলা বাস্কেট, বাক্স, ফ্লোর ম্যাট, পাপশ, ডোর ম্যাটসহ বিভিন্ন ধরনের হস্তেশিল্প পণ্য। এ প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন ৫০ জনেরও বেশি মানুষ। যার অধিকাংশই নারী।

এই সংগঠনের মাধ্যমে গ্রামের সাধারণ নারীদের তৈরি করা পণ্য চলে যাচ্ছে বিশ্ববাজারেও। এতে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেক নারী।
এ সংগঠনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে অসংখ্য মানুষের। তৈরিকৃত পণ্যের মাধ্যমে নারীরাও এগিয়ে যাবে বিশ্বের দরবারে। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বেকারত্ব দূর হবে অনেকের।

যেকোন  সংগঠন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব যদি উদ্যোক্তার মনোবল স্বচ্ছ ও উদ্যমযুক্ত থাকে। অনেক নারী এখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। তারা স্বাবলম্বী হচ্ছেন।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধারের নামে ঋণের ফাঁদ পা দিলেই মাথায় হাত কেরানীগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ঋণজাল

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে হস্তশিল্পে স্বাবলম্বী হচ্ছে নারী

আপলোড সময় : ১১:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৪

সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলায় চলনবিল উন্নয়ন কেন্দ্র  নামের একটি সংগঠনের মাধ্যমে হস্তশিল্পের কাজ শিখে স্বাবলম্বী হচ্ছে নারীরা। কারিতাস বাংলাদেশ ও রয়েল টাচ হ্যান্ডি ক্রাফটের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, সংগঠনটির কার্যালয়ে অনেক নারী এক সঙ্গে কাজ করছেন। কেউ ঝুড়ি বানাচ্ছেন, কেউ কাজ শিখছেন।

কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, বাঁশ, বেত, হোগলা পাতা ইত্যাদির ঝুড়ি, ডালা, ব্যাগ, চালন, জুতা সহ বিভিন্ন পণ্য তৈরি করা হয় এখানে।  সেখানে প্রায় দুইশ ৭৫ জন নারী প্রশিক্ষণ নিয়ে কাজে যুক্ত রয়েছেন। এ সমস্ত পণ্য পরবর্তীতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়ে থাকে।

হস্তশিল্পের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থানে স্বাবলম্বী হচ্ছে নারীরা। অসচ্ছল নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে জেলা উপজেলায় গড়ে তোলা চলনবিল উন্নয়ন কেন্দ্র নামের একটি সংগঠন।

তৈরি হচ্ছে অপরূপ কারুকার্য সম্মিলিত দৃষ্টিনন্দন হস্তশিল্প পণ্য। দেশের গন্ডি পেরিয়ে যা বিশ্ব বাজারেও চাহিদা গড়ে তুলেছে। বিভিন্ন স্থান থেকে উপকরণ সংগ্রহ করে তৈরি হচ্ছে এ হস্তশিল্প। মান ভালো ও দৃষ্টিনন্দন হওয়ায় ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে নারীদের হাতে তৈরি এসব পণ্যের। হস্তশিল্পের এসব পণ্য মুগ্ধ করেছে দেশি-বিদেশি ক্রেতাদেরও। নারীরা নিপুণ হাতে তৈরি করছেন হোগলা বাস্কেট, বাক্স, ফ্লোর ম্যাট, পাপশ, ডোর ম্যাটসহ বিভিন্ন ধরনের হস্তেশিল্প পণ্য। এ প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন ৫০ জনেরও বেশি মানুষ। যার অধিকাংশই নারী।

এই সংগঠনের মাধ্যমে গ্রামের সাধারণ নারীদের তৈরি করা পণ্য চলে যাচ্ছে বিশ্ববাজারেও। এতে স্বাবলম্বী হচ্ছেন অনেক নারী।
এ সংগঠনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ হচ্ছে অসংখ্য মানুষের। তৈরিকৃত পণ্যের মাধ্যমে নারীরাও এগিয়ে যাবে বিশ্বের দরবারে। কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বেকারত্ব দূর হবে অনেকের।

যেকোন  সংগঠন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব যদি উদ্যোক্তার মনোবল স্বচ্ছ ও উদ্যমযুক্ত থাকে। অনেক নারী এখানে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছেন। তারা স্বাবলম্বী হচ্ছেন।