রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ২২৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (০৬ নভেম্বর) সকালে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম এক খুদে বার্তায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে সূত্র জানিয়েছে, সারাদেশে মোতায়েন করা ২২৮ প্লাটুন বিজিবি আজ ভোর থেকে মাঠে নেমেছেন ও তারা টহল দিচ্ছেন।
এর আগেও ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু করে কয়েক দফা বিজিবি মোতায়েন করা হয়। বিজিবি সীমান্ত রক্ষী একটি বাহিনী হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলো থেকে বিজিবিকে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামিয়ে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে দেখা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা সরকারবিরোধী দলগুলো। ওই দিন দুপুরে বিএনপির মহাসমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কাকরাইল মোড়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ হয়। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরে সেটি ত্রিমুখী সংঘর্ষে রূপ নেয়।
একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয় এবং বেশকিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এছাড়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদেরও মারধর করা হয়। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও উপুর্যুপরি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে বিএনপির সমাবেশ ভণ্ডুল করে দেয়। এতে সংঘর্ষ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। এছাড়া পুলিশ হাসপাতালেও হামলার ঘটনা ঘটে।
২৯ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করে বিএনপি। একই দিন গ্রেফতার করা হয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরকে। এছাড়া পুলিশি অভিযান চালানো হয় দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাসা-বাড়িতে। পরদিন মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়। এরপর দুই দিনের বিরতি দিয়ে আবারও ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি। রোববার (৫ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফার প্রথম দিনের অবরোধ কর্মসূচি শুরুর আগেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১৯টি গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।