প্রচণ্ড শীতে কাবু মানুষ। দিন দিন তীব্র হচ্ছে শীতের প্রকোপ। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে চরাঞ্চল, লঞ্চঘাট, বাস স্ট্যান্ড, নদীপাড় ও ফুটপাতে আশ্রয় নেওয়া ব্যক্তিরা।
তীব্র শীতে জ্বর, সর্দি, কাশিসহ শীতজনিত রোগীর চাপ বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে। হাড় কাঁপানো শীত নেমেছে চুয়াডাঙ্গায়। সকালে চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে কুড়িগ্রামে খেটেখাওয়া ও নিম্ন আয়ের মানুষ কষ্টে আছে। শীত আর ঘন কুয়াশার কারণে কাজে যোগ দিতে পারছেন না তারা। গরম কাপড়ের অভাবে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করার চেষ্টা করছেন দরিদ্র মানুষ।
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়েও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। শীত ও ঠাণ্ডায় দিনাজপুরের হিলিতে বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ। উপকূলীয় ঝালকাঠি, ভোলায় তীব্র শীতে দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষের।
ঘন কুয়াশায় গেল রাত থেকে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে বন্ধ আছে ফেরি চলাচল। যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে মাঝ নদীতে আটকা পড়েছে ছয়টি ফেরি।
নৌকার মাঝি আব্দুল মালেক জানান, মধ্যরাত পর্যন্ত নৌকা চালাতে হয় তাদের। নদীতে বাতাস আর কুয়াশায় প্রচণ্ড ঠান্ডা লাগে। শীতে অনেক কষ্ট করতে হয় তাদের।
জেলেপাড়ার বাসিন্দা নগেন চন্দ্র বিশ্বাস, হরিপদ বিশ্বাস, ছায়া রাণী জানান, ভাঙ্গাচোরা ঘরের ফাঁক দিয়ে শীতল বাতাস ঢুকে রাতের ঘুম নষ্ট করে দেয়। সকালে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করেন তারা। শীত থেকে বাঁচতে গরম কাপড় নেই তাদের।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক গণমাধ্যমে জানান, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা পার্থক্য কমে যাওয়ার কারণে দেশের উত্তর, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।
তিনি আরও জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। তবে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে মৃদু শৈত্য প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।