ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

শহরের চেয়ে গ্রামে খাবারের দাম বেশি

ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব মতে নভেম্বর মাসে শহরের চেয়ে গ্রামে খাবারের দাম বেশি ছিল।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব বলছে, নভেম্বরে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। একই মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
পরিসংখ্যানে থেকে জানা যায়, খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে। সার্বিক মূল্যস্ফীতিও নিম্নমুখী। তবে বাজারে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমেনি। ফার্মের মুরগি ও ডিমের দাম ছাড়া কোনো পণ্যের দামই কমেনি।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সরবরাহ করা বাজারদরেও নভেম্বরে খাদ্যপণ্যের দাম কমানোর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের বলেন, আমি বারবার বলে আসছি, আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরোর মূল্যস্ফীতির তথ্যের সঙ্গে বাজারের বাস্তব অবস্থার প্রতিফলন হয় না। বিবিএস ১৭ বছর আগের ভিত্তিবছরকে (২০০৫-০৬) ভিত্তি ধরে মূল্যস্ফীতির হিসাব করে। বাস্তব চিত্র পাওয়ার জন্য মূল্যস্ফীতির তথ্য ২০১৫-১৬ অর্থবছরকে ভিত্তিবছর ধরে হিসাব করতে হবে।

শহরের চেয়ে গ্রামে খাবারের দাম বেশি থাকার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় গ্রামের পণ্য এখন দ্রুত শহরে চলে আসছে। ফলে গ্রামে পণ্যের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এতে গ্রামে খাবারের দাম কিছুটা বেড়েছে।

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধারের নামে ঋণের ফাঁদ পা দিলেই মাথায় হাত কেরানীগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ঋণজাল

শহরের চেয়ে গ্রামে খাবারের দাম বেশি

আপলোড সময় : ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২২

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসাব মতে নভেম্বর মাসে শহরের চেয়ে গ্রামে খাবারের দাম বেশি ছিল।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) পরিসংখ্যান ব্যুরোর প্রকাশিত মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাব বলছে, নভেম্বরে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। একই মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
পরিসংখ্যানে থেকে জানা যায়, খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে। সার্বিক মূল্যস্ফীতিও নিম্নমুখী। তবে বাজারে চালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমেনি। ফার্মের মুরগি ও ডিমের দাম ছাড়া কোনো পণ্যের দামই কমেনি।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) সরবরাহ করা বাজারদরেও নভেম্বরে খাদ্যপণ্যের দাম কমানোর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর সাংবাদিকদের বলেন, আমি বারবার বলে আসছি, আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরোর মূল্যস্ফীতির তথ্যের সঙ্গে বাজারের বাস্তব অবস্থার প্রতিফলন হয় না। বিবিএস ১৭ বছর আগের ভিত্তিবছরকে (২০০৫-০৬) ভিত্তি ধরে মূল্যস্ফীতির হিসাব করে। বাস্তব চিত্র পাওয়ার জন্য মূল্যস্ফীতির তথ্য ২০১৫-১৬ অর্থবছরকে ভিত্তিবছর ধরে হিসাব করতে হবে।

শহরের চেয়ে গ্রামে খাবারের দাম বেশি থাকার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় গ্রামের পণ্য এখন দ্রুত শহরে চলে আসছে। ফলে গ্রামে পণ্যের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এতে গ্রামে খাবারের দাম কিছুটা বেড়েছে।