লক্ষ্মীপুরে রোববারের (২৫ আগস্ট) তুলনায় বন্যার আরও অবনতি হয়েছে। নোয়াখালী থেকে বন্যার পানি ঢুকে লক্ষ্মীপুরের বিস্তীর্ণ জনপদ ডুবে গেছে। এর সঙ্গে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে পুরো জেলায়। পানিবন্দি হয়েছে অন্তত ৮ লাখ বাসিন্দা। প্রতিদিনই নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
এদিকে, লাহারকান্দি উচ্চবিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে সোমবার ভোরে আবদুল মালেক নামে এক ব্যক্তি মারা গেছে। এর আগে রোববার (২৫ আগস্ট) বাড়ি থেকে পরিবার ও পরিজন নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্র যান আবদুল মালেক।
টানা ভারি বর্ষণ ও মেঘনার অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে একের পর এক গ্রাম শহর ও রাস্তাঘাট পানিতে তলিয়ে যায়। তবে আকস্মিক বন্যার কবলে পড়ে সর্বপ্রথম প্লাবিত হয় রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ৪০টি এলাকা। এরপর ধীরে ধীরে অন্যান্য উপজেলায় প্লাবিত হয়। গত তিন দিন ধরে ফেনী ও নোয়াখালীর বন্যার পানি রহমতখালী ও ডাকাতিয়া খাল হয়ে লক্ষ্মীপুরে ঢুকে পড়ছে।
বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলের মান্দারী, চন্দ্রগঞ্জ, চরশাহী, দিঘলী, বাঙ্গাখাঁ, লাহারকান্দি ও উত্তর জয়পুরসহ ৪০টি ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।