রমজানে ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে ব্যবহৃত হয় শসা ও লেবু। চাহিদা বিবেচনায় বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। অসাধু ব্যবসায়ীরা রোজাকে ঘিরে অস্থির করে তুলছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। রোজা শুরুর একদিন আগে থেকে ইফতারের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান লেবুর বাজারে চড়া মূল্য বিরাজ করছে। দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে লেবু। শুধু লেবু নয় শসার বাজারেও আগুন।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া শসা প্রথম রমজানেই বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। মাঝারি মানের শসা গত সপ্তাহে ৪০ টাকায় বিক্রি হলেও সেটিও দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। আর নিম্ন-মানের শসা গত সপ্তাহে ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও আজ তা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। গতকাল যে লেবু ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে মঙ্গলবার তার এক হালির দাম ৮০ টাকা। অর্থাৎ প্রতি পিস লেবু ২০ টাকা। আকারে ছোট লেবুর পিস কেনা যাচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়।
এ ছাড়া ইফতার তৈরিতে প্রয়োজনীয় ধনে পাতা, কলা, পেঁয়াজ, মরিচ সবকিছুই রোজার প্রথম দিনে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষকে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হচ্ছে, তেমনি ইফতারের আয়োজনেও হিমশিম অবস্থা।
ইফতার তৈরিতে ব্যবহৃত কাঁচা বাজারের দাম জানতে চাইলে দোকানি জানালেন সোমবারের তুলনায় বেড়েছে দাম। অজুহাত, সরবরাহ কম। কিন্তু চাহিদা বেশি। সে কারণে দামও বেড়েছে।
এদিকে বাজারের এমন হুলুস্থুল পরিস্থিতিতে কেনাকাটা অনেকটা কমিয়ে দিয়েছেন ক্রেতারা। বেশ কয়েকজন ক্রেতা এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, তারা তুলনার চেয়ে কম কিনছেন।
বাজারের এই পরিস্থিতিতে একজন ক্রেতা বলেন, গতকাল যে বেগুন ৬০ টাকায় বিক্রি হইছে আজ সেসব ১২০ টাকার নিচে বিক্রি করছেন না বিক্রেতারা।
এক জন ক্রেতা বলেন, সবকিছুই দামি! কি কিনবো আর কি কিনবো না সেই অঙ্ক মেলে না। সবসময় চেষ্টা করছি এক কেজি প্রয়োজন থাকলেও আধা কেজি দিয়ে চালাতে। তাও পারছি কই? রাতারাতি সব বদলে যায় আমাদের দেশে। বদলায় না শুধু ক্রেতাদের অসহায় অবস্থা।