মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহার আর মাত্র ৩ দিন বাকি। এরই মধ্যে জমে উঠেছে রাজধানীর পশুর হাটগুলো। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোরবানির পশু আসতে শুরু করেছে রাজধানীর হাটগুলোতে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত চলবে পশু বিক্রি। কেননা এই ঈদে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা যার যার সাধ্য অনুযায়ী প্রিয় পশু কোরবানি দিতে চেষ্টা করেন। গত বছরও মাঝারি সাইজের গরুর বেচাকেনা বেশি ছিল। তবে এবার ক্রেতা মানেই নজর ছোট গরুতে। তবে খাসি ছোট-বড় সব সাইজেই বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকার হাটগুলো পরিদর্শন করে দেখা যায়, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও কুষ্টিয়াসহ দেশের নানান প্রান্ত থেকে ট্রাকে করে গরু-ছাগল আসছে। তবে বেচাকেনা তেমন শুরু না হলেও ক্রেতাদের আনাগোনা রয়েছে। ক্রেতাদের অনেককে দর কষাকষি করতেও দেখা গেছে।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বিক্রেতারা আকাশচুম্বী দাম হাঁকাচ্ছেন। যার যেমন ইচ্ছে দাম চাচ্ছেন। ৮০ হাজার টাকার কমে কোনো গরু মিলছে না।
গাবতলী হাটে গরু কিনতে এসেছেন ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ব্যাপারীরা গরুর দাম বেশি চাচ্ছেন। সকালে হাটে এসেছি, এখন সন্ধ্যা হবে হবে। বাধ্য হয়ে দাম বেশি দিয়েই এক লাখ ৮০ হাজার টাকা দিয়ে গরু কিনতে হলো। দাম দেড় লাখ হলে ভালো হতো।
ব্যাপারীরা বলছেন, গরুর খাবারের দাম সম্প্রতি বেশ বেড়েছে। এছাড়া ঈদ উপলক্ষে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে একটা গরু ঢাকায় আনতে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য খরচও হয়। তাই গরুর দাম একটু বেশিই। গরুর দামের বিষয়ে ক্রেতাদের কোনো ধারণা নেই।
গরু ব্যবসায়ী আমিনুল বলেন, ‘এবার সব ছোট গরুর কালেকশন। শুরু থেকেই ক্রেতার আগ্রহ দেখছি ছোট গরুতে। ৩২টা গরু আনছি, আরও আনব। ইতোমধ্যে ১২টা বেচে দিছি। আজ অনেকে দেখে দাম-দর করে যাচ্ছেন। কাল তারাই কিনে নিয়ে যাবেন। কয়েকজন তো আগাম অর্ডার দিয়ে গেলেন।’
গাবতলী হাটের ছাগলের শেডে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার ছাগলে ভরে গেছে হাট। দাম-দরে হরহামেশা বিক্রি হচ্ছে খাসি। বিশ্বাস স্থাপনের জন্য খাসির দাঁত বের করেও দেখাচ্ছে বিক্রেতারা। এবার ৬ হাজার টাকায়ও খাসি মিলছে।
ছাগল বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘২৫০টি খাসি আনছি। কিছু বেচা হয়ে গেছে। আমার কাছে এখনো ৬ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকার খাসি আছে। বিকেলের পর থেকে প্রচুর ক্রেতা হাটে আসছে। ক্রেতার পছন্দ হওয়ার মতো সব ধরনের খাসিই এবার হাটে আছে।