চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার তেররশিয়া গ্রামের জারজিস আলী মধুর ছেলে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রুবেল হক।২০২১ সালের ৩১ মে বিয়ে করেন নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার চকযাদু গ্রামের আফজাল হোসেনের মেয়ে সায়মা সুলতানা সিমিকে।বিয়ের পর থেকেই ৫০ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন রুবেল।
নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে স্ত্রী সিমি ২০২২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে রুবেল, তার বাবা জারজিস আলী মধু, মা নাসিমা বেগম ও বোন নাসরিন খাতুনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শুনানি শেষে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ঘটনার তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
স্ত্রীর করা সেই মামলায় পুলিশ সুপার (এএসপি) রুবেল হককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানের সই করা প্রজ্ঞাপনে বরখাস্তের আদেশ দেওয়া হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ের সহকারী পুলিশ সুপার এর আগে খাগড়াছড়ি এপিবিএন এবং বিশেষায়িত ট্রেনিং সেন্টারের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. রুবেল হককে বিএসআর পার্ট-১-এর বিধি ৭৩-এর নোট ২ অনুযায়ী সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা সমীচীন মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় তাকে চাকরি হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। তিনি বাংলাদেশ সার্ভিস রুল (বিএসআর) পার্ট-১, বিধি-৭১ মোতাবেক খোরাকি ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হবে।
এর আগে গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে নির্যাতন করায় রুবেল হককে টাঙ্গাইলের মহেড়া পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার থেকে খাগড়াছড়ির মহালছড়ির ষষ্ঠ এপিবিএনে বদলি করা হয়।