এবার বিশ্বকাপে সবচেয়ে আবেদনময়ী হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন সাবেক মিস ক্রোয়েশিয়া ইভানা নোল। রক্ষণশীল কাতারের নির্দেশনা অমান্য করে তিনি প্রকাশ্যে এসেছেন খোলামেলা পোশাক পরে। স্টেডিয়ামে সেই পোশাকে হাজির হয়েছেন তিনি।
আলোচনা-সমালোচনা বা শাস্তির হুমকি থাকলেও তিনি পোশাকের রীতি পরিবর্তন করেননি। তবে এ নিয়ম ভঙ্গে এবং বিশ্বে আলোড়ন ঘটায় তাকে স্থির করতে এবার তৎপর হয় কাতার কর্তৃপক্ষ। আর ঘটনাটি ঘটে (৯ ডিসেম্বর) ক্রোয়েশিয়া বনাম ব্রাজিলের হাইভোল্টেজ ম্যাচের দিনেই।
এ দিন স্টেডিয়ামে স্বল্পবসন নিয়ে বেশ বিপাকে পড়েন সাবেক মিস ক্রোয়েশিয়া। স্টেডিয়ামে নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে বাধা দেন, এমনকি ভক্তদের সঙ্গে ছবি তুলতেও দেওয়া হয়নি।
তবে ব্রাজিলকে হারিয়ে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে ক্রোয়েশিয়া সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে। ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে আর্জেন্টিনার সঙ্গে মুখোমুখি হয় ক্রোয়েশিয়া। আর ম্যাচের আগে মিস ক্রোয়েশিয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘোষণা দিয়েছিলেন যদি আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে ফাইনালে যেতে পারে ক্রোয়েশিয়া তাহলে তিনি ‘নগ্ন’ হয়ে হাঁটবেন।
এই ঘোষণার পরপরই তার ভক্তরা বেশ নড়েচড়ে বসেছিলেন। কিন্তু তা আর হলো না। টান টান উত্তেজনায় ভরপুর সেমিফাইনালে ৩-০ গোলে আর্জেন্টিনার কাছে হেরে বাড়ি চলে গেছে ক্রোয়েশিয়া। ভক্তদের আশায় গুড়োবালি। মিস ক্রোয়েশিয়ার মন খারাপ।
ইতোমধ্যেই এবারের বিশ্বকাপের হটেস্ট ফ্যান হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন ইভানা।
সমালোচনা করলেও এখন পর্যন্ত নিয়মের বেড়াজালে আটকাতে হয়নি এই মডেলকে। গত বিশ্বকাপের বর্তমান রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার প্রতিটি ম্যাচে তাদের উৎসাহ দিতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন তাদের প্রেসিডেন্ট। এবার গ্যালারি থেকে সেই উৎসাহের কাজটি করছেন এই মিস ক্রোয়েশিয়া।
প্রসঙ্গত, সাধারণত বিশ্বকাপ ফুটবলে আবেদনময়ী, বিশেষ করে যৌন আবেদনময়ী, নিষিদ্ধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত যুবতীদের রমরমা অবস্থা থাকে। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপ চলছে রক্ষণশীল কাতারে। সেখানে নগ্নতা, মদ, অসামাজিকতা নিষিদ্ধ করা হয়।
নারীদেরকে মর্যাদা রক্ষা করে পোশাক পরতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ইংল্যান্ডসহ সব দেশের খেলোয়াড়দের স্ত্রী অথবা প্রেমিকা কাতারে রয়েছেন শালীন পোশাকে। কীভাবে এমন পোশাক পরতে হয়, কী ধরনের পোশাক পরলে শালীনতা রক্ষা হয়, এ জন্য তারা বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নিয়েছেন বা নিচ্ছেন।
কিন্তু কোনো বিধিনিষেধের ধার ধারেননি ইভানা নোল। তিনি খোলামেলা পোশাকে উপস্থিত হয়ে ফুটবল ভক্তদের, বিশেষ করে পশ্চিমা ফুটবল ভক্তদের হৃদয় কেড়ে নিয়েছেন। তারাই তাকে এবার বিশ্বকাপের সবচেয়ে ‘সেক্সিস্ট ফ্যান’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।