যশোর জেলায় এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত ১৪৬ জন ব্যক্তি। ইতোমধ্যে তাদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৫ জুন) সকালে এইচআইভি প্রতিরোধে করণীয় শীর্ষক পেশাজীবীদের মতবিনিময় সভায় এফপিএবি জেলা কর্মকর্তা আবিদুর রহমান এসব তথ্য দেন। এ সময় ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিকের সভাপতিত্ব সভা অনুষ্ঠিত হয়।
যশোর জেলা এইডস কমিটির তথ্যমতে, এই জেলায় ২০০৬ সাল থেকে এইচআইভি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়। ২০০৬-২০২২ সাল পর্যন্ত ১৪৬ জন নারী-পুরুষের শরীরে এইচআইভি শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে ২০০৮ সালে দু’জন, ২০১০ সালে সাতজন, ২০১১ সালে ছয়জন, ২০১২ সালে নয়জন, ২০১৩ সালে আটজন, ২০১৪ সালে ২৩ জন, ২০১৫ সালে ৩৩ জন, ২০১৬ সালে ১৩ জন, ২০১৭ সালে আটজন, ২০১৮ সালে ছয়জন, ২০১৯ সালে ১০ জন, ২০২০ সালে ১০ জন, ২০২১ সালে একজন ও ২০২২ সালে ১০ জন। তাদের মধ্যে এইডস রোগী সংখ্যা ২০ জন। এদের মধ্যে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও আটজন পুরুষ।
সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানান, যশোর জেলায় এইডস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কয়েকদিন আগে যশোর এমএম কলেজে তিনজনের শরীরে এইচআইভি ধরা পড়েছে। তারা তিনজন একই সঙ্গে থাকতেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেডিকেল অফিসার (সিএস) ডা. রেহেনেওয়াজ, ছিন্নমূল মানব কল্যাণ সোসাইটি (সিএমকেএস) কনসোর্টিয়াম সাব-ডিআইসি ইনচার্জ মিলন মণ্ডল, এইডস কমিটির ফোকালপার্সন আবিদুর রহমান, এইচআইভি কাউন্সিলার কাম অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সুদেব কুমার বিশ্বাস।