ঢাকা , রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নোটিশঃ
ত্রৈমাসিক চলনবিলের সময় পত্রিকার প্রিন্ট,অনলাইন ও মাল্টিমিডিয়া  জরুরি  সংবাদকর্মী আবশ্যক। আবেদন করুন- ই-মেইলে onlynews.calo@gmail.com

মোবাইলে প্রেম, বিয়ের প্রলোভনে দলবদ্ধ ধর্ষণ

ছবি সংগৃহীত

নাটোরে দরবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. তামিমকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গ্রেপ্তার তামিম নাটোর সদর উপজেলার চাঁনপুরের পাবনা পাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজশাহী কাশীয়াডাঙ্গা থানার কাঠালবাড়ীয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। ওই মামলার প্রধান আসামি মো. তামিম পলাতক ছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১টা ১০ মিনিটে রাজশাহী কাশীয়াডাঙ্গা থানার কাঠালবাড়ীয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগে এ মামলায় দুই আসামি আব্দুল মজিদ (২৬) ও সিরাজুল ইসলামকে (৩০) গ্ৰেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল মজিদ মাটিয়া পাড়া (পীরগঞ্জ) আব্দুল মান্নানের ছেলে এবং সিরাজুল ইসলাম (৩০) সদর উপজেলার চাঁনপুরের পাবনা পাড়া এলাকার সোনাউল্যাহর ছেলে।

উল্লেখ্য, এক বছর আগে মামলার প্রধান আসামি মো. তামিমের সঙ্গে এক স্কুল ছাত্রীর মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর ওই স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে অপহরণ করে নাটোর সদর থানার তেবাড়ীয়া ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে আসামি মো. তামিম, আব্দুল মজিদ এবং সিরাজুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও দুইজন রাত ৯টার দিকে চাঁনপুর বিলের কলাবাগানে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর আসামি তামিম আব্দুল মজিদকে ডেকে ভিকটিমকে তার কাছে হস্তান্তর করলে আব্দুল মজিদ ভিকটিমকে একটি অজ্ঞাত বাড়িতে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। পরে ভিকটিমকে রাজশাহী গামী বাসে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য বনবেল ঘড়িয়া বাইপাস মোড়ে অবস্থান নেয়। সেখানে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমের অস্বাভাবিক অবস্থা দেখে সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ভিকটিমের বাবা নাটোর সদর থানায় মো. তামিম, আব্দুল মজিদ, সিরাজুল ইসলামসহ আরও অজ্ঞাত দুইজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন।

 

নিউজ ট্যাগ :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ধারের নামে ঋণের ফাঁদ পা দিলেই মাথায় হাত কেরানীগঞ্জের গ্রামে গ্রামে ঋণজাল

মোবাইলে প্রেম, বিয়ের প্রলোভনে দলবদ্ধ ধর্ষণ

আপলোড সময় : ০৬:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

নাটোরে দরবদ্ধ ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. তামিমকে (১৯) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। গ্রেপ্তার তামিম নাটোর সদর উপজেলার চাঁনপুরের পাবনা পাড়া এলাকার আবুল কালাম আজাদের ছেলে।

রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজশাহী কাশীয়াডাঙ্গা থানার কাঠালবাড়ীয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব জানায়, স্কুল ছাত্রীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে পরিচয়ের পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে ডেকে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। ওই মামলার প্রধান আসামি মো. তামিম পলাতক ছিল। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাত ১টা ১০ মিনিটে রাজশাহী কাশীয়াডাঙ্গা থানার কাঠালবাড়ীয়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগে এ মামলায় দুই আসামি আব্দুল মজিদ (২৬) ও সিরাজুল ইসলামকে (৩০) গ্ৰেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল মজিদ মাটিয়া পাড়া (পীরগঞ্জ) আব্দুল মান্নানের ছেলে এবং সিরাজুল ইসলাম (৩০) সদর উপজেলার চাঁনপুরের পাবনা পাড়া এলাকার সোনাউল্যাহর ছেলে।

উল্লেখ্য, এক বছর আগে মামলার প্রধান আসামি মো. তামিমের সঙ্গে এক স্কুল ছাত্রীর মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার পর ওই স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে অপহরণ করে নাটোর সদর থানার তেবাড়ীয়া ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামে নিয়ে যায়। সেখানে আসামি মো. তামিম, আব্দুল মজিদ এবং সিরাজুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরও দুইজন রাত ৯টার দিকে চাঁনপুর বিলের কলাবাগানে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করে। এরপর আসামি তামিম আব্দুল মজিদকে ডেকে ভিকটিমকে তার কাছে হস্তান্তর করলে আব্দুল মজিদ ভিকটিমকে একটি অজ্ঞাত বাড়িতে নিয়ে আবারও ধর্ষণ করে। পরে ভিকটিমকে রাজশাহী গামী বাসে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য বনবেল ঘড়িয়া বাইপাস মোড়ে অবস্থান নেয়। সেখানে স্থানীয় লোকজন ভিকটিমের অস্বাভাবিক অবস্থা দেখে সদর থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। ভিকটিমের বাবা নাটোর সদর থানায় মো. তামিম, আব্দুল মজিদ, সিরাজুল ইসলামসহ আরও অজ্ঞাত দুইজনকে আসামি করে ধর্ষণ মামলা করেন।